পূজায় চোখ সতেজ রাখতে করনীয়
দুর্গাপূজার আয়োজন যেহেতু কয়েকদিন ধরে থাকে, তাই এই সময় শারীরিক, মানসিক দুই রকম চাপই একটু বেশি থাকে। কিন্তু তাই বলে তো আর পূজার সময় নিজেকে মলিন দেখানো যাবেনা। তাই একটু বাড়তি যত্ন না নিলেই নয়। আমাদের দেহের সকল ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কিন্তু আমাদের চোখের মাধ্যমেই বোঝা যায়। তাই চোখের চাই বিশেষ যত্ন।
শসা আমরা অনেক কিছুতে ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া ফেশিয়াল বা রূপচর্চার অংশ হিসেবে অনেকেই চোখের ওপর শসার টুকরো দিয়ে রাখেন। কিন্তু এই শসার টুকরো কিছুক্ষণ চোখের ওপর রেখে দিলে কী উপকার, তা কি সবাই জানেন?
শসায় অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ আছে। এতে থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান থাকে। এ ধরনের উপাদান শরীরের জন্য যেমন জরুরী, তেমনি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও বেশ কার্যকর।
চোখের যত্নে অন্যতম কার্যকর উপাদান হিসেবে মনে করা হয় শসাকে। শসায় থাকা প্রদাহনাশক উপাদান চোখের ফোলা ভাব দূর করতে পারে। এছাড়া এতে জলীয় অংশ বেশি থাকায় চোখের শুষ্ক ভাব দূর করে। চোখের ক্লান্তি দূর করতে এবং সতেজ ভাব আনতে সাহায্য করে।
চোখে শসা ব্যবহারের উপকারিতা
শসা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। চোখের চারপাশের যে চামড়া থাকে, তা পুরো শরীরের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা। চোখের চারপাশে শসা দিয়ে রাখলে এই ত্বক আর্দ্র হয়। এতে ত্বক কুচকে যাওয়া বা বলিরেখা দূর হয়।
শসায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সিলিকা, যা ত্বকের ডার্ক সার্কেল বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। শসা ব্যবহারে এই কালো দাগ সাময়িক দূর হলেও এটি স্থায়ী সমাধান নয়। তবে চোখের চারপাশে কালো দাগ আস্তে আস্তে হালকা করে শসা। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও শসা গুরুত্বপূর্ণ।
শসার জুসে আছে ফাইটোকেমিক্যাল যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন হচ্ছে আঁশের মতো একধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার জন্য দায়ী এবং এটি সেলুলাইট দূর করে।
শসায় আছে অ্যাসকরবিক ও ক্যাফেইন অ্যাসিড, যা চোখের চারপাশে ফোলাভাব কমায়। শসা কেটে আগে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এটি ব্যবহারে চোখ বিশ্রাম পাবে। মিলবে চোখের আর্দ্রতা।
চোখের নিচে চামড়া ঝুলে পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে শসা। শসার পেস্ট পানিয়ে তাতে মধু, ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে চোখের নিচে হালকা করে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পরে ভেজা কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখ ফোলা ভাব কমবে।