নারীদের নিরাপত্তায় নতুন ট্র্যাকিং সেবা
একজন নারী যার ঘরের বাইরে পা দেওয়ার সাথে সাথে মনের কোণে ভয় থাকে যে ঠিকভাবে বাসায় ফিরতে পারবে কি না। শুধু যে নারীরাই ভয়ে থাকে তা নয়, নারীর পাশাপাশি নারীর পরিবারের সকলেই চিন্তায় থাকে। বিপদ বলে আসে না তাই দেখা যায় অনেক সময়ই নারীরা নিরাপত্তায় জোরদার তেমন কিছুই পায় না এবং বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। সেক্ষেত্রে নারী প্রতি সহিংসতা কমাতে এবার ব্রিটিশ সরকার উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চাইছে বলে জানা গেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকারের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সেখানকার জনপ্রিয় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির নতুন ট্র্যাকিং সেবার সপক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন, যা নারীদের সাহায্য করবে একা চলাচলে। লন্ডনের দুই নারীর মর্মান্তিক হত্যার ঘটনা সামনে আসার পরেই, সে দেশের সরকার এই সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি বিটি-র চিফ এক্সিকিউটিভ যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের কাছে একটি চিঠিতে 'ওয়াক মি হোম' নামের সেবা সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব দেন, যেখানে এটির কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে চিঠিতে বলা হয় যে, কোনো নারী একবার তার ফোনে নির্দিষ্ট অ্যাপ সক্রিয় করলে উক্ত সেবাটি তার জার্নি বা গতিবিধি ট্র্যাক করবে; আর যদি সেই নারী তার গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারে তবে তার জরুরি কন্টাক্টগুলিতে পৌঁছে যাবে একটি সতর্কীকরণ। এই সেবা ফোনে উপলব্ধ এস ও এস অপশনটির মত কাজ করবে, তবে এটি আরো উন্নত সুবিধা দেবে।
ইতিমধ্যে, ইউকে হোম অফিস প্যাটেল কর্তৃক চিঠি প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছে এবং যথাসময়ে জবাব দেওয়ার কথাও বলেছে। অন্যদিকে প্যাটেল একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে এই নতুন উদ্ভাবনী স্কিমটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চালু করা হবে। এর জন্য তিনি এবং তার টিম, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিটির সাথে যোগাযোগ করবে বলেও উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্র সচিব।
উল্লেখ্য ৮৪ বছর ধরে বিটি, ব্রিটেনের জরুরী নম্বর পরিচালনা করে আসছে এবং নিজেদের সিস্টেমকে সময়ের সাথে আপগ্রেড করছে। এই কারণেই দেশের নারীদের সুরক্ষার জন্য কোম্পানিটির ওপর সরকার ভরসা করছে বলে মনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর বা বড়দিনের মধ্যে সেবাটি চালু হবে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল মনে করছে।