৪১ নারী পেলেন ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড
নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই কোনো কাজে। একজন নারী একজন সফল চাকুরীজীবী, একজন সফল উদ্যোক্তা কিংবা একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে সফলতা পেয়ে যাচ্ছেন। নারীরাও পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিটি কাজে, প্রতিটি সেক্টরে। সম্প্রতি ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। যা পেয়েছেন ৪১ জন নারী।
বিভিন্ন খাতে সফল ২৩ নারী পেয়েছেন ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়েছে আরও ১৮ জনকে। ২০১৪ সাল থেকে উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) নামের একটি সংস্থা অ্যাওয়ার্ড টি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
বিইউপির ছাত্রী সৈয়দ সাদিয়া হোসেন লিডারস অব টুমোরো ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন। অ্যাসপাইরিং ওম্যান লিডার ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন প্রাভা হেলথের প্রডাক্ট ম্যানেজার সাবিরা মেহেরিন সাবা এবং মার্ক অ্যান্ড স্পেন্সারের ফ্যাশন ডিজাইনার রোকাইয়া আহমেদ পূর্ণ। ইউনিলিভারের প্রকিউরমেন্ট অপারেশন ম্যানেজার আসমা আখতার বিজয়ী হয়েছেন প্রগ্রেসিং লিডার ক্যাটাগরিতে। ইন্সপায়ারিং ডায়নামিক ওম্যান ক্যাটাগরিতে মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক, ওম্যান লিডার ক্যাটাগরিতে বিএটি বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মুবিনা আসাফ, কালারস এফএম পাওয়ার ওম্যান ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা সিটি ফুটবল ক্লাবের চ্যাম্পিয়ন লিগের প্রধান কোচ মিরোনা খাতুন। ইন্সপায়ারিং ফিমেল স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ট্রান্সঅ্যান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লামিয়া তানজিন তানহা, ফিমেল ইন জার্নালিজম ক্যাটাগরিতে ৭১ টিভির কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর মিথিলা ফারজানা, ফিমেল লিডার ক্যাটাগরিতে স্টার্টআপ বাংলাদেশের সিইও টিনা জাবিন বিজয়ী হয়েছেন। আইপিডিসি ফাইন্যান্স 'মোস্ট প্রগ্রেসিভ অর্গানাইজেশন' ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে।
উইলের সভাপতি নাজিয়া আন্দালিব প্রীমা বলেন, এ পুরস্কার নারীকে পেশাগত জগতের ভেতরে ও বাইরে নেতৃত্বের লড়াইয়ে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে নারীর অংশগ্রহণ এখনও অব্যবহিত সম্পদগুলোর একটি।
গত ৫ বছর থেকে নারী প্রফেশনালদের তাদের কর্মজীবনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে আসছে উইল। ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডের অন্তর্নিহিত বার্তা হল দেশের প্রবৃদ্ধিতে নারীদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া; নারী প্রফেশনালদের ক্ষমতায়ন এবং সমাজে রোল মডেল তৈরি করা (ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক উভয় স্তরে)।