পুজোয় নারীদের সাজগোজ
দুর্গা পূজা বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী দের একটি বিশেষ উৎসব। উৎসবের দিনগুলোতে স্পেশাল সাজের দরকার হয়, আর তা যদি হয় পূজার সময় তাহলে তো কোন কথাই নেই। বাইরে যাওয়া হোক আর না হোক কম বেশি সবাই সাজগোজ করবেন পূজায়। যেহেতু এখনো করোনার সংক্রমণ আছেই তাই পার্লারে যতটা না যাওয়া যায় ততোটাই ভালো। তাই আজকে জেনে নিন দুর্গা পূজার সাজগোজ কেমন হবে!
দুর্গা পূজায় আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাজতে পারেন কিন্তু সকালে ও রাতের সাজের পার্থক্যটা মাথায় রাখতে হবে। আর এবার সাজের ধরনটা অন্যবারের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হয়। যেহেতু মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক। তাই সকাল ও রাত উভয় সাজেই হালকা বেইজ মেকআপ ও আকর্ষণীয় চোখের সাজের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
পোশাক
এছাড়া সাদা শাড়ি লাল পাড় পূজার জন্য বেষ্ট অপশন। সকালে দিকে চাইলে এক প্যাঁচে শাড়ি পরতে পারেন।
আর রাতে লাল, নীল, মেরুন, বেগুনি বা যেকোনো গাঢ় রঙের পোশাক পড়তে পারেন। জামদানি, গরদ, সিল্ক ইত্যাদি শাড়ি এই দিনে সব থেকে ভালো লাগবে। আর শাড়ি পরতে না চাইলে সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন, চাইলে কুর্তি বা ফতুয়াও বেছে নেওয়া যেতে পারে। আবার চাইলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়তে পারেন।
মেকআপ
দিনের বেলা সিগ্ধ সাজই বেশি ভালো লাগে। মেকআপ করার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। মুখে প্রাইমার ব্যবহার করুন। এরপর বিবি ক্রিম লাগিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পাউডার দিয়ে পুরো মুখের বেজটা সেট করে নিতে নিন। চেহারায় সিগ্ধভাব আনতে ব্লাশ ব্যবহার জরুরি। সকালের সাজে গালে পিচ রঙের ব্লাশ দিন। ডার্ক ব্রাউন পেন্সিল দিয়ে দিয়ে হালকা ভাবে আইব্রো শেইপ করে নিন। চোখে হালকা রঙের শ্যাডো লাগিয়ে আইলাইনার ও কয়েক পরত মাশকারা দিন। মাশকারা বেশি করে দিলে চোখ আরও আকর্ষণীয় লাগবে। ঠোঁটে পিচ,রোজি অথবা ন্যুড ধরনের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। চাইলে ছোট টিপ পড়তে পারেন।
পূজায় রাতের সাজ হবে জমকালো
প্রথমে মুখ স্ক্রাব করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তারপর প্রাইমার লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে মেকআপ শুরু করতে হবে। এরপর দাগছোপ,অসম রঙ ও ডার্ক সার্কেল থাকলে ত্বকের সাথে মিলিয়ে কনসিলার ব্যবহার করুন। এরপর ফাউন্ডেশন মুখে লাগিয়ে ব্লেন্ড করে সেটিং পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে হবে। পেনসিল দিয়ে আইব্রো এঁকে নিন। এবার ডার্ক ব্রাউন কালার আইব্রোশ্যাডো দিয়ে আইব্রো হালকা শেইপ করে নিন। চোখে নীল, অ্যাশ অথবা পোশাকের সাথে মিলিয়ে গাঢ় যে কোন রঙের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। চোখের ইনার সাইডে সামান্য সিলভার বা গোল্ডেন হাইলাইটার ব্যবহার করে নিন। চোখে মোটা করে আইলাইনার লাগান। আইলাইনার শুকিয়ে গেলে মাশকারা লাগান। চাইলে আইল্যাশও লাগাতে পারেন। এতে চোখ আরও বেশি বড় ও আকর্ষণীয় লাগবে। ব্লাশন প্যালেট দিয়ে কন্টোরিং করে নিন। চিক এবং কানের মাঝ বরাবর থেকে টেনে ব্রাশ দিয়ে কন্টোরিং করুন। কন্টোরিংয়ের জন্য ডার্ক ব্রাউন ব্লাশন বেছে নিন। এতে চিক অনেক বেশি হাইলাইট হবে এবং ব্লাশনের সাহায্যে মুখের শেইপ কেটে নিতে পারবেন। কন্টোরিয়ের পর আবার ফিনিশিং পাউডার দিয়ে বেইজটা হালকা টাচ-আপ করে নিন। এতে কন্টোরিংয়ে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গোলাপি রঙের ব্লাশন দিয়ে দুই গালের চিককে হাইলাইট করুন। কপালে, নাকে ও গালের উপরের দিকে হাইলাইটার ব্যবহার করুন।
চুল
এই গরমে চুল খোলা না রাখাই ভালো। চুল সামনের দিকে সেট করে পেছনে কার্ল করে ছেড়ে বা বেঁধে নিতে পারেন। কানের পেছনে চুলে গুঁজে দিন বেলি ফুলের মালা বা সাদা ও লাল জারবেরা।আর রাতে চুলে করতে পারেন খেজুর বেণি অথবা খোঁপা করে ঝুমকো দেওয়া কাটা দিয়ে রাখতে পারেন।
গহনা
পোশাকের সাথে মিলিয়ে গহনা পড়ুন। দিনের বেলা ফুলের গহনা ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা পোশাকের সাথে মিলিয়ে পুঁতি বা কাঠের গহনা পড়তে পারেন। আর রাতে বেছে নিতে পারেন গোল্ড প্লেট অথবা স্টোনের গহনা।