শুভ জন্মদিন লিজেন্ড!
দিনটা আজ ৫ অক্টোবর। হয়তো আর দশটা দিনের মতো এটাও হতে পারতো ক্যালেন্ডারের পাতায় কেবল একটি সংখ্যা। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট পাগল ভক্তদের কাছে দিনটার আছে আলাদা তাৎপর্য। কেননা, আজ যে টাইগার দলের মুকুটহীন সম্রাট মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিন। ৩৮টি বসন্ত পার করে আজ ম্যাশ পা রাখলেন ৩৯ এ , যার অর্ধেকই আবার কেটে গেছে দেশের ক্রিকেটকে দিতে গিয়ে।
'মাশরাফি বিন মর্তুজা' এই নামের পরশ পাথরের ছোঁয়ায়ই নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। ম্যাচের পর ম্যাচ, সিরিজের পর সিরিজ জিতিয়েছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। বাইশ গজের লড়াইটা মাশরাফি লড়ে গিয়েছেন আবেগ দিয়ে।
অদম্য, লড়াকু, আবেগী, দেশপ্রেমিক কিংবা দলনেতা, একেকটি শব্দ যেন মাশরাফির জীবনের একেকটি অধ্যায়। চিত্রা নদীর পাড়ের সেই দুরন্ত কৌশিকের 'মাশরাফি' হয়ে উঠার গল্প কারো অজানা নয়। পায়ের ইনজুরিতে বারবার হোঁচট খেয়েও বাইশ গজে মাশরাফির বারবার ফিরে আসা যেকোনো মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা।
২০০১ সালে টেস্টের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক মাশরাফির। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই ফরম্যাটে ৩৬ ম্যাচেই শিকার করেছেন ৭৮টি উইকেট। একই বছর ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় ম্যাশের। এই গতি তারকা সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২২০ ওয়ানডে খেলে ২৭০ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফির। ২০১৭ সালে টি-২০তে অবসর নেয়া মাশরাফি ৫৪ ম্যাচে পেয়েছেন ৪২টি উইকেট।
২০১৪ সালে টিম টাইগারদের দায়িত্ব উঠে মাশরাফির কাঁধে। তারপর টাইগার ক্রিকেটের স্বপ্নের পরিধি বেড়েছে বহুগুণ। লাল-সবুজের পতাকাটা বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরার সাহসটা দেখিয়েছিলেন মাশরাফিই। আর তাইতো বাইশ গজকে বিদায় জানানোর পরও বাংলাদেশের ক্রিকেটে 'মাশরাফি বিন মর্তুজা' নামটি আসবে বারবার।