তুমি পথ প্রদর্শক, তুমি অনুপ্রেরণা!
একটি আদর্শ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন হয় আদর্শ জাতি তৈরি করা। আর এই আদর্শ জাতি তৈরি করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একজন শিক্ষক। তিনি হতে পারেন স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা হতে পারেন মা। একজন মা-ই একজন শিশুর প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক।
মা-এর হাত ধরেই গুটি গুটি পায়ে যেমন হাটতে শেখা হয় ঠিক একইভাবে মায়ের মুখের বুলি থেকেই প্রথম কথা বলতে শেখা হয়। তার কাছ থেকেই প্রথম শিখতে হয় সকল আদব কায়দা। কিভাবে বেড়ে উঠার সাথে সাথে সকল পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া যাবে সেই শিক্ষাটাও একজন মা-ই তার সন্তানকে দিয়ে থাকেন। এ কারণে একজন মা-ই হলেন একজন সন্তানের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক।
মায়ের শিক্ষার বয়স হয় না। তবে বয়স ভেদে একাডেমিক জীবনে পা দিলে একেক শিক্ষকগণ একেক শিক্ষা দেয়। একাডেমিক জীবনে সবচেয়ে প্রথম শিক্ষক হলেন স্কুলের শিক্ষকগণ। যারা হাতে ধরে পড়াশোনা তো করায় সেই সাথে ভবিষ্যতে কিভাবে একজন শিক্ষার্থী ভালো কিছু করতে পারবে সেই শিক্ষাও দেন এবং একজন আদর্শ মানুষ তৈরির শিক্ষা দেন।
এরপর আসে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। যারা একজন আদর্শ মানুষ থেকে কিভাবে আদর্শ জাতি তৈরি করা যায় সেই শিক্ষা দেন।
১৯৯৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালিত করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষক দিবসের এই দিনটি শুধুমাত্র শিক্ষকদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করে রাখার জন্যই। প্রতি বছর আজকের এই দিনটি শিক্ষকদের স্মরণ করে পালিত করা হয়।
চলার পথে আসা সকল শিক্ষকদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এভাবেই শিক্ষকদের হাতে গড়ে উঠুক একটি দেশের আদর্শ জাতি।