গরমে আইসক্রিম দেবে প্রশান্তি, সাথে উপকারও।
আইসক্রিম আমাদের অনেকেরই পছন্দের খাবার তালিকার উপরের দিকে। আবার গরম এলেই আইসক্রিম খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত আইসক্রিম খেলে দাঁতে ক্যাভিটি, গলা ব্যথা, টনসিলের সমস্যা হতে পারে। বেশি আইসক্রিম খাওয়ার অপকারিতা নিয়ে সকলেই মোটামুটি অবগত। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত আইসক্রিম খাওয়ার কিছু উপকারিতাও আছে।
আইসক্রিমে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন।যেমন, ভিটামিন এ, বি-৬, বি-১২, সি, ডি এবং ই । এমনকি কিছু আইসক্রিমে ভিটামিন কে-ও থাকে। এসব ভিটামিন শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা থেকে ভিটামিন কে শরীরকে বাঁচায়। এছাড়াও বিভিন্ন আইসক্রিমে থিমাইন এবং রিবোফ্লেভিনও থাকে।
আইসক্রিমের একটি প্রধান উপকরণ হচ্ছে দুধ। দুধে থাকে এল-ট্রিপটোফেন যা পুরো নার্ভাস সিস্টেমকেই শান্ত রাখতে পারে। ফলে আমাদের মেজাজ শান্ত থাকে।
এছাড়াও আইসক্রিমে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস জাতীয় খনিজ থাকে যা হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে। এমনকি আমাদের অনেকের অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার সমস্যা থাকে। আইসক্রিম কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
আইসক্রিমে থাকা ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যারা দুর্বল বা ক্লান্তিতে ভোগেন, তারা মাঝে মধ্যেই আইসক্রিম খেতে পারেন।
আইসক্রিম আমাদের প্রশান্তির পাশাপাশি স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে। আইসক্রিম থ্রমবোটনিন হরমোন ক্ষরণ করতে সাহায্য করে। এই হরমোন সুখী হরমোনের তালিকাভুক্ত। তাই তা ক্ষরণে মন খুশি থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।
এখন আইসক্রিমের নানান উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত যেকোনো কিছু আমাদের জন্য খারাপ। তাই আইসক্রিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা ওবেসিটির শিকার তাদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করেই আইসক্রিম খাওয়া উচিত।