পেটের কৃমি দূর হবে ঘরোয়া উপায়ে
কৃমি সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন বা ভুগেন। পেটে কৃমি সমস্যা হলে পেটে ব্যথা, খুদা কম লাগা, হঠাৎ শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া, ঘন বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কৃমি সমস্যায় মূলত ছোট বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হয়। এতে করে বাড়তি বাচ্চাদের শরীর দিনে দিনে খারাপ হতে শুরু করে। ফলে তারা তাদের বয়সে যে দৌড় ঝাপ বা খেলাধুলা করে বেড়ায় তা থেকে বিরত থাকে। যার কারণে তাদের শরীরে বাসা বাধে বিভিন্ন ধরনের রোগের সমস্যা।
বড় রাও যে এই রোগে আক্রান্ত হয় না তা কিন্তু নয়। তারা ও আক্রান্ত হন এই কৃমি রোগে। অনেক বাবা-মা আছেন যারা ঘরোয়া টোটকা দিয়েই রোগ-বালাই দূর করে থাকেন। তাদের ধারণা এতে করে শরীরে রোগ সারানো সম্ভব এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা ভেষজগুণ দিয়েই শরীর সুস্থ থাকে।
অনেক সময় মেডিসিন এ কাজ হয় না বা কাজ হলেও তা ক্ষণিকের জন্য হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাই ঘরোয়া উপায়ে অনেকেই দূর করতে চায় কৃমি রোগের সমস্যা। তাই চলুন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে দূর করবেন কৃমি সমস্যা তা জেনে নেই।
নিমপাতা
নিমপাতা যে কোনো ক্ষত সারাতে, ত্বক, চুলের যে কোনো সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই নিমপাতা তিতা স্বাদযুক্ত। তাই সহজেই কৃমি জাতীয় রোগকে বশ করে ফেলতে পারে।
৩০/৪০ টা নিমপাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে শিল পাটায় বা ব্লেন্ডার এ ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি ছোট ছোট গোলা করে (মেডিসিন এর মতো, যাতে সহজেই খেতে পারেন) একটা বক্সে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে এই নিমপাতার বড়ি খেয়ে নিবেন (মেডিসিন এর মতো করে)। ঠিক না হওয়া অবধি এটি মেনে চলুন। এতে খুব দ্রুতই দূর হবে পেটে কৃমি সমস্যা।
কাঁচা পেঁপে, দুধ ও মধু একসাথে খেলে দূর হবে কৃমি। কাঁচা পেঁপে কৃমি দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। তাই যারা কৃমি সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খেতে পারেন এই কাঁচা পেঁপে।
কাঁচা পেঁপে ধুয়ে গ্রেটার দিয়ে মিহি করে গ্রেট করে নিন।এবার ১ গ্লাস গরম দুধ, ১ চা চামচ মধু ও ২চা চামচ পরিমাণ কাঁচা পেঁপে নিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন।
রোজ সকালে এই নিয়ম মেনে চলুন।যত দিন না কৃমি সমস্যা দূর হবে।