জাতিসংঘের একই মঞ্চে তিন বাংলাদেশী নারী
কথায় আছে, "যে রাঁধে সে চুল ও বাধে"। এখনো পর্যন্ত বহু নারী বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে নিয়ে গিয়েছে । আন্তর্জাতিক পরিসরে নারীদের নেতৃত্ব উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের নাম। বলা যায়, দেশে নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে অনেকটাই ড্রাইভিং সিটে বসে আছে বাংলাদেশ। নারীদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে দেখার সুযোগ নেই আর। এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে নারীদের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বের এক বিরল দৃষ্টান্ত নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৭তম বারের মতো বাংলায় ভাষণ দেয়ার সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। যিনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়া ছিলেন মোসাম্মৎ শাহানারা মনিকা, যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এবং বর্তমানে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে কাউন্সিলের তৃতীয় নারী, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা ইংরেজিভাষী বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এর আগে এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এক বছরের জন্য ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও এই মহামারি আরো বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য এ অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’
নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে রোল মডেল হিসেবে ধরা যায় বাংলাদেশকে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তার নিজ গতিতে ঠিক তখনেই দেশের ডিজিটালায়নেও নারীদের মুখ গুলো ভেসে আসছে। এমন সুবাতাস বইতে থাকলে অদূরেই এক কাতারে দাঁড়াবে নারী-পুরুষ।