চোখের যত্নে করণীয়
শরীরের সবথেকে সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। অনলাইনে পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজ করার কারণে চোখের ওপর আরও বেশি চাপ পড়ছে। চোখের ওপর বেশি চাপ পড়াতে চোখের সমস্যাও দিন দিন বাড়ছে। তাই সব ধরনের সমস্যা ও বিপদ থেকে এই বিশেষ অঙ্গটিকে নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস-
চোখের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজন। খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রচুর মাছ রাখুন। মাছ চোখের জন্য অনেক ভালো। এছাড়া শাকসবজি ও মৌসুমি ফল চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়া ডিম ও দুধ চোখের জন্য ভালো কাজ করে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে কমপক্ষে দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টা পরপর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নেয়া উচিত। এতে শুধু চোখই নয়, বরং পুরো শরীরের বিশ্রাম হয়ে যায়।
একদম কাছ থেকে ফোন ও টিভি দেখা উচিত না। সাধারণত ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত। তবে ছয় ফুটের কম দূরত্ব থেকে টিভি দেখা উচিত নয়। বড়-ছোট বিভিন্ন সাইজের টিভি দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। ফোন যতটা সম্ভব দূর থেকে দেখা উচিত।
ঝিরঝির করা, কাঁপা কাঁপা ছবি ও ভৌতিক ছায়া-যুক্ত ছবি না দেখাই ভালো। রঙিন টিভিতে রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্ট ঠিক রেখে টিভি দেখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ টিভি দেখা উচিত নয়, মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিয়ে টিভি দেখা উচিত।
সূর্যের আলো চোখের জন্য ভালো। খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলো চোখের যত্ন নেয় কিন্তু রোদ চোখের ক্ষতি করে। চোখে বার বার পানির ঝাপটা নিবেন, তাহলে চোখ পরিষ্কার থাকবে। আর্দ্রতা-বিহীন বাতাস থেকে চোখকে দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত। যেকোনো আঘাত ও ধুলোবালি থেকে চোখের নিরাপত্তা দিতে গগলস পড়তে পারেন।
বাচ্চাদের হাম, জলবসন্ত, হুপিং-কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগে বিশেষ যত্ন নেওয়া আবশ্যক। এসব রোগের ঠিক মতো চিকিৎসা না করালে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই তাদের চোখ নিয়ে বেশি সচেতন হতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চোখে ড্রপ ব্যবহার করবেন না। ড্রপ খোলার এক মাসের মধ্যেই ব্যবহার করতে হবে এরপর ফেলে দিতে হয়। বছরে কমপক্ষে একবার চোখের চেক-আপ করতে হবে।