অদ্ভুত তিমি বেলুগা!
আমরা অনলাইনে একটি অদ্ভুত তিমি মাছ দেখে থাকি। অদ্ভুত স্বভাবের এই প্রাণীটির সাথে মানুষ খুব সহজেই মিলে যেতে পারে। বিভিন্ন এম্যাউজমেন্ট পার্ক সহ বিনোদনমুলক পার্ক গুলোতে দেখা যায় মানুষের সাথে খুনসুটিতে মেতে আছে। বেলুগা জাতের এই তিমি মাছটি খুবই অদ্ভুত। বেলুগা তিমি বা Beluga whale।
এরা সাদা তিমি নামেও পরিচিত। সুমধুর কণ্ঠের জন্য এরা বিখ্যাত। পূর্ণবয়স্ক বেলুগা তিমির সারা শরীর সাদা হলেও বাচ্চা অবস্থায় গায়ের রং থাকে গাঢ় ধূসর। মাথা সামনের দিকে উঁচু। তাই এদের আলাদা করে চিনে নিতে কোনো বেগ পেতে হয় না।
একটি পূর্ণবয়স্ক বেলুগা তিমির ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি যা প্রায় ৪.২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে এবং এরা প্রায় ৩৫-৪০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এরা সমুদ্রের আটাশ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এবং এক ডুবে প্রায় ২৫ মিনিট পানির নিচে থাকতে পারে।
অন্যান্য তিমির মতো বেলুগার পিঠে পাখনা নেই। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে বেলুগার শরীরে বেশ কিছু অভিযোজন ঘটেছে। পিঠের পাখনা বিলুপ্তিও এ ধরনের একটি প্রক্রিয়া। বেলুগা তিমি মাথা ওপর-নিচে, ডানে-বায়ে বিভিন্ন দিকে ঘোরাতে পারে।
এরা সামাজিক দলবদ্ধ প্রাণী এবং এক একটি দলে সাধারণত দশটি তিমি থাকে। পরিযানের সময় কয়েকটি দল মিলে কয়েকশ’ তিমির দল হয়। এরা নিজেদের মধ্যে কথা বার্তা বলে, যেমন- শিস দিয়ে, ঝনঝন শব্দ করে ভাব বিনিময় করে। স্তন্যপায়ী বেলুগা তিমি মাছ, খোলস ওয়ালা প্রাণী, কৃমি সবই খায়। প্রতি তিন বছর পরপর একটি শাবকের জন্ম দেয়।
বন্ধু সুলভ আচরণ করা প্রাণীটি সবসময়েই তাদের চলার পথে মানুষকে সাথি হিসাবে দেখে এসেছে। বেলুগা সবসময়েই আমোদময়ী। সঠিক সামুদ্রিক পরিবেশের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বিপন্ন এই প্রাণীটি।