Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে যখন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি!

আধুনিককালে অধিকাংশ নারীরাই পিরিয়ডের সময়টাতে নানা ব্র্যান্ডের, পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এটি যথেষ্ট আরামদায়ক ও আপনাকে যেকোনো পরিবেশে রাখে স্বচ্ছন্দ ও নিরাপদ। কিন্তু হয়তো আপনি নিজের অজান্তেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সময় কিছু ভুল করে থাকেন। যেগুলো আপনার জন্য বয়ে আনতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। চুলকানি, র‍্যাশ, ত্বকের নানা রকম অসুখ থেকে শুরু করে হতে পারে ক্যান্সারের মত নানা কঠিন সব রোগ। ভয়াল এই রোগগুলো হতে মুক্তি পেতে একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সাবধানতা। তাই, এমন কিছু বিষয়ের উপর সতর্কবার্তা দেওয়া হলো, যে ভুলগুলো একটু চেষ্টা করলেই খুব সহজে এড়িয়ে যেতে পারেন। 

 

সুগন্ধিযুক্ত, ঔষধযুক্ত বা রঙ্গিন প্যাড ব্যবহার করতে হয়তো আপনার ভালো লাগতে পারে। কিন্তু এতে যে কেমিকেল ব্যবহার করা হয়, তা আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। এ থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই সুগন্ধিযুক্ত বা ঔষধযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে আপনাকে সচেতন হতে হবে । 

 

একটি ন্যাপকিন সারাদিন ব্যবহার: উচ্চ শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন বা আপনার রক্তপাত কম হচ্ছে বলেই সারাদিন ধরে একটি প্যাড পরে থাকবেন না। রক্ত বেশিক্ষণ জমে থাকার ফলে সেখানে জীবাণু জন্ম নেয় ও আপনি সেটি দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন। তাই নির্দিষ্ট একটি সময় পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করতে হবে । 

 

ন্যাপকিন বদলানোর সময় অসতর্কতা: আগের ন্যাপকিনটি বদলে যখন নতুন ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন, তখন তার আগে ভালো ভাবে হাত ও ওই স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ও মুছে নিতে হবে । প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে পারেন । তারপর নতুন ন্যাপকিনটি পরে নিন।

 

ন্যাপকিন ধরার আগে হাত না ধোয়া: ন্যাপকিন ধরার আগে সাধারণত হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক নারীই অনুধাবন করেন না। কিন্তু হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ধরার কারণে হাতে লেগে থাকা নানা ধরনের জীবাণু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে।

 

বাথরুমে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা: বাথরুমে/টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার ফলে হয়তো প্রয়োজনের সময় সেটি আপনার ৫ মিনিট সময় বাঁচায়। কিন্তু টয়লেটে থাকা নানা ধরনের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। আর আপনি সেই জীবানুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য-ঝুঁকির মাঝে পড়তে পারেন সহজেই।

 

মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল না করা: মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল না করার ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

 

ছাড়ের সময় পণ্য কেনা: ছাড়ের সময় সাধারণত সেই পণ্যগুলোই বিক্রি করা হয় যেগুলো অনেক দিন ধরে মজুদ আছে, কোন ত্রুটির কারণে বিক্রি করা যায়নি, খারাপ মানসম্পন্ন বা মেয়াদোত্তীর্ন। তাই স্বাস্থ্যের জন্যে সংবেদনশীল একটি পণ্যের ব্যাপারে এই ঝুঁকি নেবেন না।

 

নতুন ব্র্যান্ডের কমদামী বা ফ্রি ন্যাপকিন ব্যবহার: কমদামী বা নতুন ব্র্যান্ডের অন্য কোন পণ্যের সাথে ফ্রি পাওয়া স্যানিটারি ন্যাপকিনটি ব্যবহারের আগে ২ বার ভাবুন। কতটা সস্তা কাঁচামাল ব্যবহারের কারণে তারা এটি এত সস্তায় আপনার হাতে তুলে দিতে পারছে এবং সেটি ব্যবহার আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা।

 

আপনার স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের একটি ভুল আপনাকে ফেলতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য-ঝুঁকিতে । তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এখনই এসকল বিষয়ে সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করুণ । 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ