আফগানিস্তানের প্রযুক্তির অতীত!
বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল ইন্টারনেট ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রের তকমাটা আফগানিস্তানের। আফগানিস্তান রাষ্ট্রটিতে তাদের দেশে তালেবান সরকার আসার আগে কিংবা পরে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কেমন হবে তার কিছুটা আভাস মিলেছে।
মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করে ৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। মন্ত্রীসভার সবাই পুরুষ এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের ছবি আমরা সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি। তারও আগে ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলসহ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার যখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, দেশজুড়ে ইন্টারনেটই বন্ধ করে দিয়েছিল তালেবান। এবার নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি তাদের। সে দাবিতে সত্যতার প্রতিফলন কতটুকু, তা জানতে আপাতত অপেক্ষার বিকল্প নেই। আমরা বরং তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে সেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার কেমন ছিল, তা জানার চেষ্টা করি। বছর গড়ালে না হয় তুলনায় যাওয়ার চেষ্টা করা যাবে।
গত জানুয়ারিতে আফগানিস্তানে ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ৯ লাখ ৯৬ হাজার।
ওকলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে আফগানিস্তানে মুঠোফোন ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি ছিল সেকেন্ডে ৬.৭১ মেগাবাইট (এমবিপিএস)। ঠিক এক বছর আগের তুলনায় সেটি ১৮.৫৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে জুলাইয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের গতি ছিল ১০.২৮ এমবিপিএস।
আফগানিস্তানে মুঠোফোন থেকে ৬৯.৮ শতাংশ, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে ২৭.৭ শতাংশ, ট্যাব থেকে ২.৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ডিভাইস থেকে ওয়েব ব্রাউজ করেন ০.৩ শতাংশ ব্যবহারকারী।
রাষ্ট্রটির অনেক পরিবর্তন ইতোমধ্যে এই দেখা যাচ্ছে।তাদের সরকার ও গুছিয়ে নিয়েছে।এবার ক্ষমতায় আসার পরে তাদের প্রযুক্তির ব্যবহারে কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।তবে তাদের এই ইতিবাচক স্থায়িত্ব কতবছর ধরে রাখা সম্ভব সেটি এই এখন দেখার বিষয়।অদূরে কি রাষ্ট্রটি প্রযুক্তিতে আগাবে নাকি তা মুখ থুবরে পরবে তা জানা এখন সময়ের বিষয়।