অনবরত মোবাইল ব্যবহারে দেহের ক্ষতি
আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত চলা সম্ভব নয়। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহারে সীমিত না করলে, ভুগতে পারেন নানা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। একটানা মোবাইল ব্যবহারে ঘাড়ে ব্যথা থেকে শুরু করে চোখ শুকিয়ে আসতে পারে। ক্ষতি যে শুধু শরীরে হবে তা কিন্তু নয়, বরং মনের অবস্থাও বারোটা বাজাতে পারে। মোবাইল ফোন কিছু সময় পর পর হাত থেকে দূরে রাখার কারণগুলো হল-
চোখের ক্ষতি
মোবাইল ফোনের ব্যবহার সীমিত না করলে এর নীলচে আলো চোখের ক্ষতি করবে। ফোনের স্ক্রিন চোখের ফটো-রিসেপ্টরের ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে ডেকে আনতে পারে মাইগ্রেন, ঝাপসা দৃষ্টি এবং এমনকি শুষ্ক চোখ তথা ড্রাই আই এর মতো সমস্যা। যদি এমন উপসর্গ দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি ফোন থেকেও দূরে থাকতে হবে।
কব্জির সমস্যা
কার্পাল টানেল (কবজির স্নায়ুর রোগ) এবং কবজিতে ব্যথা- দুটোই এখন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে। দিনে ৫-৬ ঘণ্টা টানা ফোন ব্যবহার করলে হাতে ব্যথা, অসাড়তা এবং সূচ ফোটার মতো অনুভূতি হতে পারে। যদি এ ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ফোন ব্যবহার কমিয়ে দিন। পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথার জন্যও দায়ী হতে পারে এই মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার।
ত্বকের ক্ষতি
মোবাইল ফোন নানা ধরনের জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল। ফোন থেকে খুব সহজে ত্বকে চলে আসতে পারে। এতে অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে। যখন ফোন কানের কাছে ধরবেন, তখনই ফোন থেকে জীবাণু চলে যাবে ত্বকে। এতে ত্বকে দাগ ও ব্রণ দেখা দিতে পারে। আবার বেশি সময় কথা বললে ঘামের সঙ্গে জীবাণু ঢুকে পড়তে পারে কানে। এ ঝুঁকি কমাতে অ্যালকোহল ওয়াইপ দিয়ে ফোন নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
ঘুম নষ্ট
আমাদের প্রত্যেকের নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। কিন্তু রাতে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের কারণে অনেক সময় ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত ত্যাগ করুন। এমন অনিয়ম ঘুমের কারণে মেজাজ খিটখিটে হবে এবং ক্ষুধা না পেলেও খেতে ইচ্ছে করবে।
মানসিক চাপ
মোবাইল ফোন আপনাকে দুটি উপায়ে স্ট্রেস অর্থাৎ মানসিক চাপের দিকে ঠেলে দিতে পারে। প্রথমত অনিদ্রা ও দ্বিতীয়ত ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত তথ্য গ্রহণ। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়াইফ বা ইন্টারনেটে স্ক্রল করলে কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। আবার অন্যদের ভালো ভালো পোস্ট দেখে নিজের ভেতর তৈরি হতে পারে বিষণ্ণতা।