অ্যাপলের শেয়ার বিক্রি!
একটি মোবাইল ফোন যা সকলের পছন্দ। কোম্পানিটিকে নিয়ে রীতিমতো বাজারে তোলপাড় বিদ্যমান সব সময়ে। সম্প্রতি কোম্পানিটি অধিক মূল্যের শেয়ার বিক্রি করছে।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা তার মালিকানাধীন পাঁচ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এসব শেয়ার বিক্রি করে তিনি প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি।
স্টিভ জবস এবং টিম কুক দু’জনই অ্যাপল ইন কর্পোরেশনের জনক। ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী ছিলেন স্টিভ জবস। এরপর তার কাছ থেকে দায়িত্বগ্রহণ করেন টিম কুক।
টিম কুক অ্যাপলের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২০০ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ তিন বছরেই কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে ১৯১.৮৩ শতাংশ। বর্তমানে অ্যাপলের বাজারমূল্য প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী পদে ২০২৬ সাল পর্যন্ত থাকার জন্য চুক্তি নবায়ন করেন টিম কুক। তার নেতৃত্বে অ্যাপল এগিয়ে যাওয়ার পরও নিজের মালিকানার শেয়ার ঠিক এমন মুহূর্তে বিক্রি নিয়ে আলোচনা ছড়িয়েছে।
তবে নিয়ম অনুযায়ীই টিম কুক তার শেয়ার বিক্রি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্বগ্রহণের ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তিনি এসব শেয়ার বিক্রি করতে পারতেন না।
২০১১ সালে দায়িত্বগ্রহণের হিসাবে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট সেই চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এর পরপরই তিনি নিজ মালিকানার শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। যা থেকে তার আয় হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
২০১৫ সালে টিম কুক জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর আগে তিন তার অর্জিত সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন এবং সেসময়ের মধ্যে অন্তত ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের সম্পদ তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন।
চুক্তির মেয়াদ শেষের পরপরই তিনি শেয়ার বিক্রি করায় তা বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থায় দিয়ে দিতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে টিম কুক এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
স্টিভ জবসের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা মুনির নানা মতবাদ দেখা গিয়েছে। কেউ কেউতো একগাল বলতেও ছাড়েনি স্টিভ জবসকে। তবে মাস্টার মাইন্ডদের পরিকল্পনা হয় তাদের কাজের মতোই বিষয়টি কতদূর গড়ায় এটাই দেখার বিষয়।