শিশুর নতুন দাঁতের যত্ন
ছোট বাচ্চা শিশুদের দাঁত ৬ মাসের পর থেকেই উঠতে শুরু করে। তাই কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে। যেহেতু শিশুর দাঁত খুব ছোট এবং সবে মাত্র উঠতে শুরু করেছে তাই যে কোনও কিছু কামড়ানোর প্রবণতা দেখা যাবে তাদের মধ্যে।
এক্ষেত্রে তাদের হাতে দিতে পারেন আপেল, বা কলার মতো খাবার ।ছোট করে কেটে শিশুর হাতে দিলেই ,সেটি শিশু আস্তে আস্তে কামড়িয়ে খেতে থাকবে। নতুন দাঁত তাই সবসময় কিছু না কিছু কামড়াতে ইচ্ছে হয় প্রতিনিয়ত। এছাড়াও বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা আছে সেগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে হাতে দিলে সে গুলো কামড়াতে পারবে নির্দ্বিধায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন জীবাণু না থাকে যাই দিন না কেনও বাচ্চার হাতে।
দাঁত উঠলে যে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো
নতুন দাঁত উঠলেই তাদের খাওয়ার ইচ্ছা বা কোনো কিছু কামড়ানোর ইচ্ছা বেড়ে যায়। ফলে প্রতিনিয়ত মুখ দিয়ে লালা পড়তেই থাকে। তাই একটা ছোট নরম কাপড় বা বাজারে বাচ্চাদের ছোট ন্যাপকিন পাওয়া যায় সেটা দিয়ে মুছে বা গলায় পড়িয়ে রাখতে পারেন হালকা করে ছোট একটা গিঁট দিয়ে।
দাঁত উঠা মানেই কিন্তু সব কিছু খেতে দেওয়া যাবে না। বেছে বেছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে সকালে একটা ডিম খাওয়াতে পারেন হালকা সেদ্ধ। এছাড়াও বাচ্চাদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। মুরগির মাংস, মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি দিয়ে সাথে কোনো মসলা ব্যবহার করা যাবে না। স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করুণ লবণ।
মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন,বিভিন্ন ধরনের চকলেট, মিষ্টি এই জাতীয় খাবার খুবই সামান্য দিবেন। না হলে ছোট বাচ্চার দাঁতে সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চার দাঁত উঠার শুরুর দিকে বা উঠা অবধি একটু ব্যথা অনুভব হতে পারে।এক্ষেত্রে অনেকের কম ব্যথা হয় বা অনেকের বেশি। বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে দ্রুত।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর একটা ছোট নরম কাপড় বা ন্যাপকিন ভিজিয়ে বাচ্চার দাঁত এবং মুখের ভেতর ভালো করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এতে করে বাচ্চার দাঁত জীবাণু মুক্ত থাকবে।
এছাড়াও বাচ্চাদের খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে অনেকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ও হয়ে থাকে। তাই এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। খেয়াল রাখুন বাচ্চার হাতে যা দিচ্ছেন সেটা জীবাণু মুক্ত কিনা।