কফির ক্ষতিকর প্রভাব এবার ওষুধে!
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি ছাড়া যেন দিন শুরু হয় না। ধোয়া ওঠা কফির কাপ থেকেই শুরু হয় নিত্যদিনের রুটিন। তবে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ায় বিরতি আসতে পারে প্রতিদিনের কফিতে। কারণ চিকিৎসা-বিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ওষুধের ওপর প্রভাব ফেলে এর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে কফি। পাশাপাশি নানান স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
‘হেলথ ডাইজেস্ট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘বায়োমেড রিসার্চ ইন্টারন্যানাল’য়ে প্রকাশিত সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, কফি ওষুধ দ্রবণে বাধা দিয়ে তা শোষণে প্রভাব ফেলে। প্রবেশকৃত ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে নিমিষেই।
ইথোপিয়ার ‘ডেবরে মার্কোস ইউনিভার্সিটি’র ফার্মেসি বিভাগের করা এই গবেষণার ফলাফলে আরও জানানো হয়, ওষুধের সঙ্গে কফি পান করলে পরিপাকতন্ত্র থেকে সেটা শরীরে মিশতেও সময় লাগতে পারে।
চিকিৎসা-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘মেডস নিউজ’ জানায়, অনেক ওষুধ রাসায়নিক আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে। যা ভেতরে থাকা ওষুধকে ধীরে ধীরে কাজ করতে সহায়তা করে। কফির অম্লতা ওষুধ কাজ করার সময়সীমা ও এর কার্যকারিতার ওপরে প্রভাব ফেলে।
‘মেডস নিউজ’ এ প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে কফি ও ওষুধ এক সঙ্গে গ্রহণ করলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে- ফোলাভাব, বমিভাব ও উচ্চ রক্ত চাপ।
তবে কি কফি খাওয়া বন্ধ? মোটেই না। কফি বাদ দিয়ে নয় বরং এর ওষুধের উপর প্রভাব সম্বন্ধে ধারণা রেখে খাওয়া যেতেই পারে। নতুন কোন ওষুধ গ্রহণ করা শুরু করলে তার নির্দেশকা ভালোভাবে পড়ে বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ও কফি গ্রহণ করতে হবে।
আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি যে, কফি ওষুধের কার্যকারিতায় কোন রকম প্রভাব রাখছে কি-না। আর এক্ষেত্রে যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন তাদের অন্তত ওষুধ খাওয়ার আগে বা পরে কফি পান থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।