Skip to content

ইরানের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র! 

ইরানের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র! 

বড় বড় রাষ্ট্রকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছে ইরান। রাষ্ট্রটির অর্থনীতি তেমন শক্তিশালী না হলেও সামরিক দিকে থেকে রাষ্ট্রটি বড় বড় শক্তিশালী রাস্ট্রের চিন্তার কারণ। ইরান সম্প্রতি আরেক চমক নিয়ে আসলো তাদের সামরিক খাতে।

 

২০১৯ সালে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দাবি করে ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অর্গানাইজেশন অব ইলেক্ট্রনিক ইন্ডাস্ট্রির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহারোখ শাহারাম জানান, তাদের বাবর-৩৭৩-এর সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে বাবর ৩৭৩ এর কোন ভার্সনটি এই সক্ষমতা অর্জন করেছে সে বিষয়ে তখন কিছু জানানো হয়নি।

 

বাবর-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ ভার্সনটির কার্যকারিতা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ইরানের এক প্রতিরক্ষা নেতা। দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহদি ফারাহি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাবর-৩৭৩-এর নতুন ভার্সন শিগগিরই উন্মোচন করা হবে।’

 

দেশটি নতুন ধরনের তরল রকেট জ্বালানি উদ্ভাবন করেছে। এই জ্বালানি কঠিন জ্বালানির মতোই স্থিতিশীল। সাধারণত রকেট উৎক্ষেপণের সময় কঠিন জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে। তবে এটি তরল জ্বালানির চেয়ে কম কার্যকর। স্থিতিশীল তরল জ্বালানি পেলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আরও দ্রুত উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে।

 

বিভিন্ন দেশ তাদের সামরিক ট্রেড মার্ক হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রকে বিশেষভাবে তৈরি করে। এই পাল্লা বহুকাল আগে থেকেই চলে আসছে। তবে ইরানের এমন একটি পদক্ষেপের কারণে পুরো বিশ্বে নেতিবাচক এবং ইতিবাচক দিক গুলো পরিলক্ষিত হতে পারে। বাবর মিসাইলটি নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের সুরক্ষায় একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।