প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল
প্রোটিন বলতে আমরা কি বুঝি? সহজ ভাষায় সহজ উত্তর হবে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি। এদের কে প্রোটিন এর উৎস হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু আমরা কি জানি এই সকল মাছ, মাংস ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে যে সকল খাবারের ভিতর রয়েছে অনেক অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন। এই যেমন ধরুন ফল! কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি? এটাই সত্যি। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক প্রোটিন। তাই যারা এই মাছ,মাংস বেশি একটা খেতে চায় না তাদের জন্য এই সকল প্রোটিন যুক্ত ফল হতে পারে ভালো। আবার অনেকেই আছে প্রোটিন বেশি পরিমাণে খেতে পছন্দ করে শরীর ফিট রাখতে তারাও তাদের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই সকল ফল।
১। পেয়ারা কিন্তু সবাই খেতে পছন্দ করি। হরহামেশাই আমরা সবাই খেয়ে থাকি এই ফল। কিন্তু আপনি কি জানেন! এই ফলেই রয়েছে প্রোটিন এর ভালো উৎস? ২.৬ গ্রাম প্রোটিন পাবেন আপনি গোটা একটা পেয়ারা তে। প্রোটিন এর পাশাপাশি এর মধ্যে আরও আছে ভিটামিন সি।যা কিনা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২। ভিটামিন সি যুক্ত ফল হলো কমলালেবু। এটি খেতে টক,মিষ্টি। এতে প্রোটিন ও আছে ভরপুর। ০.৯ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় এই ভিটামিন সি যুক্ত ফলে। এটি আপনার ফেইস এর জন্য বেশ ভালো কাজ করবে।কারো ফেইসে কোনো সমস্যা থাকলে খেতে পারেন এই ভিটামিন সি যুক্ত ফল। এছাড়াও প্রোটিন থাকায় আপনার শরীরের প্রয়োজনীয়তা ও মেটাতে সক্ষম এই কমলালেবু।
৩। কলা হলো ঠান্ডা জাতীয় ফল। এটি সকল রোগীরাই কোন ধরনের কোন বাঁধা ছাড়াই খেতে পারবেন। কলা হল পটাসিয়াম এর উৎস। এছাড়াও এতে আছে ১.১ গ্রাম প্রোটিন ও। যা কি না আপনার চুল,ত্বক সব কিছুর জন্য ভালো কাজ করবে। তাই নিয়মিত খেতে পারেন প্রোটিন সমৃদ্ধ কলা।
৪। কিশমিশ আমরা সবাই চিনি। বিভিন্ন রান্নায় এর ব্যবহার রয়েছে। কিশমিশ এ আছে ৩ গ্রাম প্রোটিন। এটি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পেশি মজবুত করতে ও সহায়তা করে থাকে। তাই নিয়মিত খেতে পারেন এই কিশমিশ।
৫। খেজুর যে প্রোটিন এ ভরপুর তা সকলেই জানি। একটা খেজুরে প্রায় ২.৪৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।এটি শরীর গঠন করতে। রোগ-প্রতিরোধ বাড়াতে এবং ওজন কমাতে ও বেশ ভালো কাজ করে থাকে। তাই প্রোটিন এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে প্রতিদিন খাবারে রাখতে পারেন এই খেজুর।
প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীর কে রাখে সুস্থ এবং রোগ-প্রতিরোধ বাড়াতে ব্যপক সহায়তা করে।তাই নিত্য দিনকার আহারে রাখতে পারেন প্রোটিন যুক্ত একটা গোটা ফল।