Skip to content

৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিভার পরিষ্কারের উপায়

মানব দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো লিভার। অতিরিক্ত ওজন ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকে লিভার সিরোসিস, ফ্যাটি লিভারের মত নানা ধরনের লিভার-জনিত সমস্যায় ভোগেন।  অনেক সময় বিভিন্ন কারণে লিভার ঠিক মতো কাজ সম্পাদন করতে পারে না। ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে, যাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার।

 

লিভার আমাদের শরীরের পাওয়ার হাউস। সুতরাং লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের শক্তি কমে যাবে, রোগী দুর্বল হয়ে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠবে। তাই এখন থেকেই লিভারের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এজন্য লিভার ডিটক্স বা ফ্লাশ করা প্রয়োজন। ডিটক্স বা ফ্লাশ একটি অভিনব শব্দ, যা খাদ্যতালিকার পরিবর্তনকে বোঝায়। লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে ডিটক্স পদ্ধতি। কিছু খাবার গ্রহণ এবং বর্জনের মাধ্যমে আপনি সহজেই লিভার পরিষ্কার করতে পারবেন।

 

লিভার পরিষ্কারের উপায়:

১। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি হলো সেরা ফ্লাশিং এজেন্ট। এটি লিভার ও কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এজন্য প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করতে হবে। পাশাপাশি ডিটক্স ওয়াটারও পান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শসা, আদার টুকরো, লেবুর স্লাইস ও কিছু পুদিনা পাতা সারারাত রেখে সকালে ওই পানি পান করুন।

 

২। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন। এজন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে চর্বির পরিমাণও কমায়। একই সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বা লিভার সিরোসিস (প্রদাহ ও দাগ) থেকেও রক্ষা পাবেন নিয়মিত ব্যায়াম করলে।

 

৩। লিভার পরিষ্কার করতে খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন। এজন্য অবশ্যই অর্গানিক শাক-সবজি ও ফল-মূল রাখতে হবে। যা আপনার লিভারকে সুস্থ রাখবে। একই সঙ্গে রসুন, সাইট্রাস ফল, হলুদ, আখরোট, বিট, গাজর, সবুজ চা, আপেল ও অ্যাভোকাডো খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন।

৪। অত্যাধিক অ্যালকোহল পান করা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় পানে ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় এর ফলে। যতটা সম্ভব অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

 

৫। অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও লবণ-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে লিভার দ্রুত পরিষ্কার হবে। অস্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবার ফ্যাটি লিভার ও লিভার সিরোসিস হওয়ার মূল কারণ। এর পরিবর্তে বাদাম, নারকেল, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্লেক্স বীজ, কুমড়ার বীজ, ডিম এবং চর্বিযুক্ত মাছ খেতে পারে। এসবে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে।

 

৬। লিভার ভালো রাখতে হলে দৈনিক চিনি খাওয়ার পরিমাণ ২০-৩০ গ্রাম বা তার কম রাখতে হবে। কারণ লিভার রক্তে চিনির মাত্রা হজম করার জন্য দায়ী। রক্তে অতিরিক্ত চিনি লিভারের কার্যকারিতা নিঃশেষ করে দিতে পারে।

 

৭। সুস্থ লিভারের জন্য মেডিটেশন ও ইয়োগা করাও জরুরি। এর মাধ্যমে আপনার স্ট্রেস ম্যানেজ করুন। এটি আপনার কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। যা আপনার লিভারের উপর চাপ কমাতে পারে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ