আমড়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
আমাদের দেশে নানা রকম মৌসুমি ফলের মধ্যে আমড়া একটি। টকমিষ্টি স্বাদের এ ফলটি কাঁচা ছাড়াও আচার, চাটনি, জ্যাম ও রান্নাসহ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়।বাংলাদেশে দুই প্রজাতির আমড়া চাষ করা হয়। দেশী আমড়া ও বিলাতি আমড়া।বর্তমানে বাজারে দেশি আমড়ার থেকে বিদেশী আমড়া বেশি দেখা যায়।
আমড়া মুখরোচক ও পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ একটি ফল। আমড়াতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইফার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি।
প্রতিটি আমড়ায় তিনটি আপেলের সমান পুষ্টি গুন রয়েছে। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। আমড়া ডাইরিয়া, জ্বালাপোড়া, জ্বর ও হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমড়ায় ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে স্ট্রোক ও হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।
শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে বেশি করে আমড়া খাওয়া উচিত। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরে হিমোগ্লোবিন ও মায়োগ্লোবিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যাদের রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্যও আমড়া অনেক উপকারী। আমড়া হজমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর আমড়া খেলে খাবার সহজেই হজম হয়।
আমড়া ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আমড়া বার্ধক্যের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে। আমড়া মুখের অরুচিভাব দূর করতেও সাহায্য করে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। ঠাণ্ডা, কাশি ও সর্দি সাড়াতেও এ ফলটি সাহায্য করে।
এছাড়া আমড়া গাছের অনেক আয়ুর্বেদিক গুনাগুণ রয়েছে। এ গাছের বিভিন্ন অংশ নানা রোগের ঔষধ হিসেবে চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।