হাতের মুঠোয় কায়কিং রোমাঞ্চ!
কায়াক তৈরি এবং ব্যবহার শুরুর ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে এর প্রচলন শুরু হয়, কানাডার আলাস্কাতে। কায়াক শব্দটি এ দেশে অতটা প্রচলিত নয়। ফাইবার, কাঠ ও পাটের তন্তু দিয়ে তৈরি ১০ ফুট লম্বা সরু নৌকাকে কায়াক বলা হয়। চালাতে হয় বৈঠা দিয়ে। কানাডায় প্রথম শুরু হয় কায়াক চালনা। বিদেশে সমুদ্র, নদীতে কায়াক চালনার প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। তবে এ দেশে বিনোদনের জন্যই কায়াকিং চালু হয়েছে।
সেখানকার জেলেরা মাছ ধরার কাজে এই নৌকা ব্যবহার করত। তখন এ নৌকাগুলোকে বলা হত আইকায়াক। এগুলো তৈরিতে হালকা কাঠের তক্তা এবং সী লায়ন অথবা সীল মাছের চামড়া ব্যবহার করা হত।
বর্তমানে কায়াকিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। রং-বেরঙের সরু নৌকায় চড়ে নদীতে রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে অনেকেই কায়াকিং করছেন। অনেকেই হয়ত জানেন কাপ্তাই লেক বা মহামায়া লেকে কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তবে হুট করে তো আর সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়।
তাই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারেও এর ব্যবস্থা করা হয়। জানলে অবাক হবেন, ঢাকাতেও এখন করতে পারবেন কায়াকিং। তাও আবার একেবারেই অল্প খরচে। মাত্র ৫০ টাকায় কায়াকিং করতে পারবেন ঢাকাতেই।
বর্তমানে ঢাকায় ‘ইয়াস কায়াকিং পয়েন্ট’ খুবই অল্প মূল্যে কায়াকিং করার সুযোগ দিচ্ছে। রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার দূরে গ্রিন মডেল টাউনে, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশেই পেয়ে যাবেন এই কায়াকিং পয়েন্ট।
কায়াকিং করার জন্য এখানে ২-৩ জনের বসার উপযোগী কায়াক আছে। প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য ৫০ টাকা, ৩০ মিনিট ১০০ টাকা এবং এক ঘণ্টা ১৫০ টাকা খরচ হবে কায়াকিং করতে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ৫০ বছরের বেশি বয়স্করা সকাল ৬-৯টা তিন ঘণ্টা পুরো সম্পূর্ণ ফ্রি কায়াকিং করতে পারবেন সেখানে।
আপনি বনে যাবেন মাঝি! নিজের ইচ্ছেমত ঘুরতে পারবেন। কায়াক চালাতে বেগ পেতে হয় না একেবারেই। কেবল নৌকা ডানে ও বামে নেওয়ার কৌশল রপ্ত করলেই নির্ভেজাল আনন্দে ঘুরতে পারবেন। কায়াকিং করার মাধ্যমে শরীর চর্চা যেমন হচ্ছে পাশাপাশি মানসিক শান্তি মিলছে ভোক্তাদের।