রান্নায় জানা অজানা কিছু টিপস
রান্না করার সময় অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল হয়ে থাকে। তাৎক্ষণিক-ভাবে এর সমাধান মাথায় আসে না। কিন্তু এসব অনিচ্ছাকৃত করা ভুলেরও রয়েছে অনেক সমাধান।
গৃহিণীরা অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে সাধারণ অনেক বিষয় ভুলে যান। এর ফলে রান্না বা কোনো সুস্বাদু খাবারের স্বাদ বদলে যায়। তার জন্য দেয়া হলো রান্নায় সহযোগী কিছু টিপস।
খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠা-া করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দেখবেন রঙটাও সুন্দর হয়েছে আবার সুন্দর ঘ্রাণ বের হচ্ছে। দুধ ফাটার ভয়ও থাকবে না।
চিনাবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করে থাকেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।
ওল, কচু অথবা কচু-শাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুল ব্যবহার করবেন। খাবারের সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন, তাহলে গলায় চুলকানোর আর কোনো ভয় থাকবে না।
সেমাই রান্নার আগে দেখে নিন। হালকা ভাজা হলে তেলে বা ঘিতে আবার ভেজে নিন। তাহলে রান্নার সময় সহজে গলে যাবে না।
কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ভয় পাবেন না। কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করবেন। দেখবেন ডিমের ঘাটতি পূরণ হয়ে গেছে।
রান্নাতে খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কেটে নিন। রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দেবেন, তাতে কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমে আসবে।
খাবারের মেন্যুতে ভিন্নতা আনতে বড় জাতের কাচকি মাছ কড়া করেও ভেজে দিন, সাথে কিছু পিঁয়াজ কুচি দিন। পোলাওয়ের সাথে ভাজা কাচকি মাছ আপনার রসনাতে ভিন্ন স্বাদ আনবে।
কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন, তাহলে ডালের রঙ আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে।
রান্নায় পর্যাপ্ত স্বাদের জন্য উপরোক্ত কাজ গুলো বেশ উপকারী ও কার্যকর। আমরা এই টিপসগুলো মেনে চলবো এবং এর ফলাফলস্বরুপ পরিবারের সদস্যদের সুস্বাদু ও মজাদার খাবার পরিবেশন করবো।