টিকটিকির উপদ্রব কমবে ঘরোয়া উপায়ে
টিকটিকি কে ভয় পায় খুব কম মানুষই। টিকটিকি সাধারণত দেওয়ালে দেওয়ালে হেঁটে বেড়ায়। নিচে খুব একটা নামে না।নামলেও চট করে আবার উপরে উঠে যায়
টিকটিকি যখন দেওয়ালে দেওয়ালে ঘুরে বেড়ায়,তখন একটা ভয় থাকে কখন না জানি ঝাঁপ দিয়ে গায়ে পড়ে যায় সে। এই ভয়ের কারণে অনেকেই এই টিকটিকি কে পছন্দ করে না।
এই টিকটিক যদি একবার খাবারে উপর পরে তাহলে তো পুরো খাবার ই শেষ। সে খাবার আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না ফেলে দেওয়া ছাড়া। কেননা তারা খাবারে পড়ার সাথে সাথেই তাদের বিষাক্ত পদার্থ তাতে দিয়ে দেয়।
এতে করে সেই খাবার খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার আশংকা থাকে। অনেকে ভাবে এই টিকটিকি কে কিভাবে দূর করা যায়। কেউ কেউ তো বিভিন্ন স্প্রে ও ব্যবহার করে থাকে এই গুলো মারার জন্য কিন্তু সে ক্ষেত্রে বেশি একটা কাজ হয় না বললেই চলে।
কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায়ে যে এই টিকটিকির সমস্যা দূর হবে সেটা কি বিশ্বাস করেন??
তাই আজ আপনাদের জন্য এনেছি ঘরোয়া কিছু উপায়।যার মাধ্যমে দূর হবে ঘরের ভিতর টিকটিকির সমস্যা।
১। যেখানে যেখানে টিকটিকি বেশি চলাচল করে সেই খানে রসুনের কিছু কোয়া রেখে দিন।এতে করে রসুনের গন্ধে টিকটিকি থাকতে পারবে না। প্রতিদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।দেখবেন টিকটিকির উপদ্রব অনেক কমে গিয়েছে।
২। রাখতে পারেন পেঁয়াজ। সে সব জায়গা দিয়ে টিকটিকি যাতায়াত বেশি করে বলে আপনার মনে হয় সেই স্থানে পেঁয়াজ কেটে দিয়ে দিন। গোটা পেঁয়াজ দিলে সেক্ষেত্রে গন্ধ বেশি পাবে না টিকটিকি। তাই পেঁয়াজ কেটে কেটে যায়গা গুলো তে দিয়ে রাখুন। অন্য পোকামাকড় থাকলে সে গুলো ও যাবে সাথে টিকটিকি তো যাবেই।
৩। ডিমের খোসা গুড়ো করে দিয়ে রাখুন। ডিমের গন্ধে টিকটিকি আর আসবে না।কেননা ডিমের যে বাজে গন্ধ সেটি টিকটিকি নিতে পারে না। তাই এই গন্ধ পেলেই টিকটিকি পালাবে তাড়াতাড়ি।
৪। রান্নায় যেমন গোলমরিচ এর একটু ব্যবহার স্বাদ বাড়িয়ে দেয়,তেমন টিকটিকি তাড়ানোর ক্ষেত্রে ও এটি ভালো কাজ করে।একটা বোতলে কিছুটা পানি নিয়ে তাতে ১ চা চামচ গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে নিয়ে টিকটিকির যাওয়া আসার জায়গা তে দিতে দিন।এই গন্ধে টিকটিকি সাথে সাথেই পালাবে। এই গন্ধ টিকটিকির ব্রেইন কে অকেজো করে দিতে সক্ষম। তাই এর গন্ধ দূর থেকে পেলে দৌড়ে পালাবে।
টিকটিকি না মেরে একে ঘরোয়া উপায়ে তাড়ানোর চেষ্টা করুন।সঠিক পদ্ধতিতে টিকটিকি তাড়ালে তারা আর সে দিকে মুখ ফিরে ও দেখবে না ভয়ে। তাই টিকটিকি তাড়াতে ঘরোয়া পদ্ধতিই বেশি কার্যকর।