Skip to content

১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহজে মাথাব্যথা কমানোর উপায় 

রোগ হিসেবে মাথাব্যথাকে আমরা তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও এটি কিন্তু বেশ যন্ত্রণাদায়ক একটি বিষয়। হুটহাট মাথাব্যথা হয় না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আর একবার মাথাব্যথা শুরু হলে তা যেন ছাড়তেই চায় না। প্রায় সকলেই নানা কারণে বিভিন্ন সময় মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সাধারণত ঘুমের ঘাটতি, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। 

 

এমন অবস্থায় মন দিয়ে কোন কাজ করাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেকে এই ব্যথা দূর করার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, আবার অনেকে মাথাব্যথার ঔষধ খেয়ে থাকেন। তবে এই পরিস্থিতিতে ওষুধ ছাড়াই খুব সহজে আপনার মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

 

১। নিরিবিলি অন্ধকার রুমে শরীর পুরো ছেড়ে দিয়ে শুয়ে থাকুন। চেষ্টা করবেন, যতটা সম্ভব চোখ, ঘাড় ও হাত-পা যেন রিল্যাক্স মুডে থাকে। কোনও মাংসপেশি যাতে টান টান হয়ে না থাকে। কিছুক্ষণের থাকলে মাথাব্যথা কমে যাবে।
 
২। চা বা কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কাজে দেয়। তবে যারা খুব ঘন-ঘন কড়া চা-কফি খেতে অভ্যস্ত, তারা এতে তেমন সুবিধা পাবেন না। আদা আর লবঙ্গ দিয়ে কড়া করে কালো চা তৈরি করে খেলেও অনেকে আরাম পাবেন। 
 
৩। মাথাব্যথা থাকলে ধীরে ধীরে জোরে শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ আটকে রেখে তা ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এভাবেও পেশীগুলোকে রিল্যাক্স করতে পারেন।
 
৪। ঘাড়, গলা বা কপালে গরম সেঁক নিয়ে দেখতে পারেন। যাদের ঠাণ্ডা পছন্দ, তারা আইসব্যাগ নিয়ে ঠাণ্ডা সেঁকও নিতে পারেন। এতেও অনেক সময় মাথাব্যথা ঠিক হয়ে যায় ।
 
৫। অনেক সময় ঘাড়ের মাংসপেশি শক্ত হয়েও মাথাব্যথা ঘটায়। এজন্য করাতে পারেন মাসাজ। ব্যথাযুক্ত স্থানে আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে কিছুক্ষণ মাসাজ করে আবার ছেড়ে দিন। মাথাব্যথা ভালো হবে।

 

৬। একই পজিশনে দীর্ঘক্ষণ মাথা ধরে রাখলে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এর জন্য হাতের তালু ধরে রাখুন কপালে। এরপর কপাল দিয়ে তালুটাকে ধাক্কা দিন। একই সময়ে হাত দিয়ে কপালটাকে সামনে এগোতে বাধা দিন। মাথা একদম সোজা রাখুন।

 

৭। মিষ্টি কুমড়ার বিচি ভেজে খেলে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা মাথাব্যথার উপশমে কাজ করে থাকে।

 

৮। মাথাব্যথা ঘন ঘন ফিরে এলে, কিংবা একটানা কয়েকদিন যদি থেকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে মাথায় আঘাত, জ্বর, খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা এসব কারণেও যদি মাথাব্যথা হতে থাকে তবে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ