‘জাস্টিস ফর পরীমনি’

মাদক মামলায় কারাগারে বন্দী চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরীমনির আটক, গ্রেফতার, রিমান্ড সবকিছু নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা- সমালোচনা। অনেকেই একতরফা এই অভিনেত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলে রাখলেও অনেকেই পরীমনির সাথে যা ঘটছে তাকে অন্যায় বলেই মনে করছেন। তাই গতকাল (১৪ ই আগস্ট ) পরীমনির মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন।
এই মানববন্ধনে লন্ডন থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী শাশ্বতী বিপ্লব, উন্নয়নকর্মী মুশফিকা লাইজু, নির্মাতা রাশিদ পলাশ, নির্মাতা সংগীতা ঘোষ, প্রকাশক দেলোওয়ার হোসেন, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা আকরামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বক্তারা বলেন, "সামান্য মাদক মামলায় একজন মানুষকে জামিন না দিয়ে দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। যা অযৌক্তিক। আমরা অতীতে দেখেছি মাদক মামলায় অনেকে জামিনে বেরিয়েছে, তাহলে তাকে কেন বারবার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।"
কোনো মামলা ছাড়া তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো, এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলেন তারা। শুধু পরীমনির জন্য নয় সমস্ত নারীদের জন্য এ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান তারা । এসময়ে সমন্বয়ক প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, 'রাষ্ট্র নারীকে কোন চোখে দেখে তা পরীমনি ইস্যুতে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমরা কোনো তালেবানি রাষ্ট্র নই। কিন্তু প্রেক্ষাপট দেখে মনে হচ্ছে নারীকে পাথর মেরে হত্যা জায়েজ।'
এ মানবন্ধনে উপস্থিত সকলে জোরালোভাবে অতিদ্রুত সঠিক তদন্ত ও পরীমনির মুক্তি দাবী করেন। পরীমনিকে মুক্তি দেয়া না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণাও দেন তারা। এ আন্দোলন, মানববন্ধনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেককেই দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে৷
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এসময় মাদকদ্রব্যসহ তাকে আটক করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয় এই অভিনেত্রীকে।