Skip to content

১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্যামসাং-কে টপকে গেলো শাওমি

কোরিয়ান টেক জায়েন্ট স্যামসাংকে টক্কর দিচ্ছে শাওমি। শাওমি প্রতিষ্ঠানটি দিনকে দিন প্রতিযোগিতার মঞ্চে সকলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এশিয়ান মারকেটকে নিজেদের আওতায় নিয়ে এসেছে শাওমি।ধারণা করা হয়, চীন ভিত্তিক এই কোম্পানিটি একছত্র আধিপত্য অদূর ভবিষ্যতে।

 

চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ইউরোপে স্মার্টফোন শিপমেন্টে কোরিয়ান টেক জায়ান্ট স্যামসাংকে ছাড়িয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। এর আগে তারা অ্যাপলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছিল, এবার স্যামসাংকে ছাড়িয়ে গেল।

 

কোভিড-১৯ এর পরের ব্যবসায়িক পরিবেশে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা প্রসার করছিল। এরই ভেতর ইউরোপের বাজার দখল করে নিল চীনা প্রতিষ্ঠানটি। তাদের ফোন মূলত রাশিয়া, ইউক্রেন, স্পেন এবং ইটালিতে বেশি বিক্রি হয়েছে। স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্স নামের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, 'চলতি বছরের  দ্বিতীয় কোয়ার্টারে শাওমি ১২.৭ মিলিয়ন ফোন শিপমেন্ট করেছে ইউরোপের বাজারে, যা গত বছরের তুলনায় ৬৭.১ শতাংশ বেশি'। 

 

অন্যদিকে স্যামসাং শিপমেন্ট করেছে ১২ মিলিয়ন ফোন যা তাদের গত বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। তারপরও বছরের সকল ফোনের হিসাব করলে স্যামসাংই শীর্ষে অবস্থান করছে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় কোয়ার্টারে শাওমি স্যামসাংকে অতিক্রম করলো। এখনো এ বছরের ৬ মাস বাকি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষেও ইউরোপে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে যাওয়া শাওমির পক্ষে অসম্ভব কিছুনা।

 

অন্যদিকে শীর্ষে যেতে না পারলেও অ্যাপল তাদের ব্যবসা প্রসার করছে। মূলত আইফোন ১২ দিয়ে তারাও ইউরোপে গতবছরের তুলনায় ১৫.৭ শতাংশ বেশি ফোন তারা বাজারজাত করেছে। অর্থাৎ ৯.৬ মিলিয়ন ফোন শিপমেন্ট করেছে। 

 

স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের তথ্যমতে, শীর্ষ পাঁচের অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে অপ্পো ও রিয়েলমি। সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম ৬ মাসে ৫০.১ মিলিয়ন ফোন শিপমেন্ট হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে, যা গত বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেশি।

 

প্রকাশিত তথ্য থেকে বোঝা যায়, ইউরোপ করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে, যদিও এশিয়ায় দিনকে দিন পরিস্থিতি অবনতির দিকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়।

 

চীনা প্রতিষ্ঠান গুলো প্রযুক্তি খাতেই কেবল এগিয়ে যাচ্ছে এমনটি নয়, বিশ্ব বাণিজ্যর সকল খাত গুলোকেই নিজেদের করে নিচ্ছে তারা। কারিগরি শিক্ষায় প্রসার করার মাধ্যমে শি জিং পিং সরকার রাষ্ট্রকে দিয়েছে এক অনন্য রূপ। সর্বোচ্চ জনসংখ্যার রাষ্ট্রটি চায় পৃথিবীর ড্রাইভিং সিটে বসতে। সম্ভব কি?

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ