গ্যাস্ট্রিক রোধে কি করবেন?
অনেকেই আছেন যারা কি না, তেলে ভাজা মচমচে চপ, ছোলা মাখা, মুড়ি মাখা সহ নানা ধরণের ফাস্টফুড ও ঝাল খাবার পছন্দ করে। আর এসব তেল জাতীয় জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলেই এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যায় দেখা দেয়। এসিডিটি খুবই বিরক্তিকর এবং ব্যথাজনক। যা মানুষের জীবনকে করে তোলে অতিষ্ঠ। বিশেষ করে বাইরের খাবারে এ সমস্যাটি বেশি হয়। তবে এমন অনেক খাবার আছে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কে কমিয়ে, পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। মনে রাখবেন গ্যাস্ট্রিক কমাতে কখনোই খালি পেটে থাকবেন না এতে সমস্যা বেড়ে যাবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধে যে খাবারগুলো খাবেন
ঠাণ্ডা দুধ: ঠাণ্ডা দুধ অনেক উপকারী গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায়। যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স অর্থাৎ দুগ্ধজাত খাবারে পেটে সমস্যা হয় তারা বাদে সবাই ঠাণ্ডা দুধ খেতে পারেন, এসিডিটি কমাতে। জ্বালা পোড়ার সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ।
জোয়ান: এসিডিটি কমাতে জোয়ান অনেক কার্যকারী। জোয়ানে এনজাইম ও বায়োক্যামিকেল রয়েছে যা এসিডিটির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দেয়।
আপেল সিডার ভিনিগার: আপেল সিডার ভিনিগার পেটের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হজমের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে ১-২ চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে নিন ।
তুলসি: তুলসি পাতা কে না চেনে। তুলসিকে বলা হয় সকল রোগ সমাধানের ভেষজ উদ্ভিদ। গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জ্বালাপোড়া রোধে তুলসি পাতার ভূমিকা অপরিসীম ।
মৌরি: হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মৌরি। আপনি প্রয়োজনে মিছরির সাথে মৌরি মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে হজম শক্তি বাড়বে।
সাইট্রাস মুক্ত ফল: যেসব ফলে এসিডের পরিমাণ কম থাকে যেমন কলা, আপেল, পেঁপে, তরমুজ পেটের জন্য ভালো। ফলগুলোতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় পেটের অস্বস্তি দূর করে।
ডাবের পানি: ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম। যা পিএইচের লেভেল ঠিক রাখে এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
আদা: আদা’র যে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা হজমের সমস্যা ও এসিডিটি কমিয়ে দেয়। আদা চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা চায়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।
মধু: এক গ্লাস উষ্ণপানিতে ১চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিক উপশম হয়।
ধনিয়াপাতা: ধনিয়াপাতা অ্যাসিডিটির সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। ধনিয়াপাতার জুস খেতে পারেন।
দারুচিনি: দারুচিনি হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ফুটিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর হয়।
পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা এসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে। যা এসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়। কয়েকটি পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে পানি সাথে ফুটিয়ে পানি ছেঁকে ঠাণ্ডা করে পান করুন। এতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধে হবে।