Skip to content

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তোকমার উপকারিতা 

তোকমা নামটি সকলেরই জানা তবে সকলে খায় না। অনেকের কাছে পছন্দের আবার অনেকের কাছে অপছন্দের। পছন্দের হোক কিংবা অপছন্দের তোকমা তে পুষ্টি ভরপুর এবং এর উপকারিতাও রয়েছে অনেক। 

তোকমার বৈজ্ঞানিক নাম Hyptis suaveolens এবং ইংরেজিতে একে Pignut বা chan বলা হয়। এটি এক ধরনের গুল্ম জাতীয়  সপুষ্পক উদ্ভিদ। 

 

তোকমা হল ছোট কালো রঙের বীজ যা সরবত বা মিষ্টি পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তোকমা স্থান ভেদে মিষ্টি বাসিল, ফালুদা বীজ, সবজা বীজ কিংবা তুর্কমারিয়া বীজ হিসেবে পরিচিত। তোকমা বীজ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। 

 

তোকমা বীজ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে বীজ টি ফুলে উঠে।  সেই বীজকে পানি কিংবা নানান ধরনের মসলা মিশিয়ে খাওয়া যায়। তোকমার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তোকমা দেহের  ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও দেহের চর্বি কমাতেও তোকমার জুড়ি নেই।

 

গ্রীষ্মকালে দেহের তাপমাত্রা কমাতে তোকমা খুবই উপকারী। এমনকি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও তোকমা বেশ উপকারী এবং দেহের বিপাকক্রিয়া ধীর করে দেয়। ফলে কার্বোহাইড্রেট কে গ্লুকোজে রূপান্তরের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় এবং যাদের ডায়াবেটিস টাইপ টু রয়েছে, তারা নিয়মিত তোকমা খেতে পারেন। 

 

কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটি দূর করতেও তোকমা বেশ কার্যকর। পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে পেটের জ্বালাপোড়া দূর করতেও তোকমা বেশ উপকারী। তোকমার বীজ পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় দেহের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সহায়ক। 

 

একজিমা ও সোরিয়াসিস নিরাময়ে তোকমা কার্যকর। এছাড়া ত্বক ও চুলের যত্নেও তোকমা বেশ উপকারী। নানা ধরনের চর্মরোগ নিরাময়েও তোকমার জুড়ি মেলা ভার।

 

তোকমার বীজ এ ঠাণ্ডা প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে, যা মানবদেহকে ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সাহায্য করে। সর্দি- কাঁশি থেকে রক্ষা পেতেও তোকমা বেশ উপকারী। 

 

তোকমা বাদামী, কালো, সাদা বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তোকমার ছোট ডিম্বাকৃতি নরম বীজটি 'সালভিয়া হিসপানিকা' নামেও পরিচিত। তোকমা দানা প্রচুর মিনারেল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ