Skip to content

৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হুমায়ূন আহমেদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তিনি ছিলেন বাঙ্গালি কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। বাংলা সাহিত্যে তিনি যাত্রা শুরু করেন ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। তাঁর সৃষ্ট মিসির আলী, হিমু চরিত্রগুলো যুব সমাজকে উদ্বেলিত করেছিল।

 

জনপ্রিয় এই লেখকের প্রয়াণ দিবসে তাঁকে স্মরণ করে সারা বাংলাদেশ পালন করা হয়ে থাকে নানা কর্মসূচি। তরুণ তরুণী ও পাঠক সমাজকে বই পড়ার দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর সকল লেখা ছিল দুরদর্শিতার এক নিদর্শন। 

 

বিশেষ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এই মানুষটি তাঁর জীবনদশায় রচনা করে গেছেন সহস্রাধিক গল্প, রচনা, নাটক, চলচ্চিত্র।

 

হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং শেষদিন পর্যন্ত নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছিলেন বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক পূরবী বসু্। 'নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের ক্যান্সার চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ' নামে একটি বই লিখেছেন তিনি।

 

 

 

সেখানে পূরবী বসু লেখেন, "স্টেজ ফোর ক্যান্সার মানে সবচেয়ে পরিণত বা Advanced Stage-ক্যান্সার। স্টেজ ফোর-এ কর্কট কোষগুলো মূল জায়গা ছাড়াও শরীরের অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। কোলন ক্যান্সারে চার নম্বর স্টেজ থেকে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা খুবই কম, (শতকরা ৭% এর মতো)। সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররাই দুঃসংবাদটি দিয়ে হুমায়ূনকে জানিয়েছিলেন কোলন থেকে তাঁর ক্যান্সার লিভারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সম্ভবপর চিকিৎসার মধ্যে ছিল কেমোথেরাপি অথবা কিছু কেমোথেরাপি আর সার্জারি। কিন্তু অসুখের নামটা শুনেই শিল্পী  হুমায়ূন আহমেদ মনে মনে স্থির করে ফেলেছেন ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো জায়গায় যাবেন এবং সেটা সিঙ্গাপুর নয়, আমেরিকা। 

এরপর তিনি তাঁর শেষ চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও চিরতরে থেমে যায় এই জাদুকরের কলম।

হয়তো জাদুকরের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হয়নি কিন্তু তিনি রয়ে গেছেন হয়তো হলুদ পাঞ্জবী পরিধান করা হিমু চরিত্রের মাঝে।" কীর্তিমানের মৃত্যু নেই" কথাটি যেন এই জাদুকরের জন্য সৃষ্টি। তিনি বেঁচে থাকবেন সকল অনুরাগীর মাঝে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ