Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাচ্ছন্দ্যে মহাকাশ ভ্রমণ

মানুষের কল্পনা তার সমান কথাটি যেন আরেকবার প্রমাণ করলেন এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী। আমরা যেমন মিরপুর থেকে আজিমপুর বাসে ভ্রমণ করি তেমনেই স্বপ্নটা ছিল রিচার্ড ব্রানসনের। তবে তার এই গন্তব্য ছিল পৃথিবী থেকে ১০০০ কিমি উপরে। অবাক লাগছে না? তিনি চেয়েছিলেন মহাকাশ এবং মানুষের মাঝে একটি অন্তঃ যোগাযোগ সৃষ্টি করার জন্য। তিনি এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন যেন ইচ্ছে হলেই সঙ্গীকে নিয়ে মহাকাশ থেকে ঘুরে আসা যাবে।

 

বিলিনিয়র রিচার্ড ব্র্যানসন তার নিজের প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিক থেকে মহাকাশের দ্বারপ্রান্তে ভ্রমণের পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। রোববার (১১ জুলাই) রকেটে চেপে মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন তিনি। ভ্রমণ শেষে রকেটটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউমেক্সিকোতে অবতরণ করে।

 

স্বাচ্ছন্দ্যে মহাকাশ ভ্রমণ

 

বিবিসি জানিয়েছে, এক ঘণ্টাব্যাপী যাত্রায় ইউনিটি-২২ নামের এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে উড়ে যায়। এসময় কয়েক মিনিট ধরে রকেটের ছয় যাত্রী ভরশূন্যতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

 

ব্র্যানসন বলেছেন, এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের ভেতর দিয়ে মহাকাশে পর্যটনের নতুন এক যুগের সূচনা হবে। আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে এই এ ধরনের পর্যটন শুরুর কথা রয়েছে। তবে মহাশূন্যে যারা বেড়াতে যেতে চাইবেন তাদের বেশ অর্থবান হতে হবে। মহাশূন্যে কয়েক মিনিটের অভিজ্ঞতার জন্য প্রতিটি টিকেটের ব্যয় পড়বে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।

 

স্বাচ্ছন্দ্যে মহাকাশ ভ্রমণ

 

রিচার্ড ব্র্যানসনের মতোই আরেকজন বিলিনিয়র উদ্যোক্তা অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোসও চলতি মাসের শেষের দিকে তার কোম্পানির তৈরি রকেটে চড়ে মহাশূন্যে ভ্রমণে যাবেন বলে কথা রয়েছে।

 

তবে মহাশূন্যে অভিযানের এই পথটি রিচার্ড ব্র্যানসনের জন্য সহজ ছিল না। তিনি ২০০৪ সাল থেকে মহাশূন্যে বাণিজ্যিক ভ্রমণ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। কথা ছিল ২০০৭ সালেই এই ভ্রমণ চালু হবে, কিন্তু রকেটে প্রাণঘাতী এক বিস্ফোরণের পর কাজটি মাঝপথে থেমে যায়।

 

কিন্তু তিনি থেমে যান নি। বিপর্যয় মানুষের এই আসে মানুষেই তার বিপর্যয় কে পরাস্ত করে তার  বিবর্তন করে। প্রতিনিয়ত তার পরিবর্তন করার ক্ষমতা মানুষের এই আছে। সেই বিষয়টি আরেকবার আঙ্গুল তুলে দেখালেন এই বিলিনিয়র। আপাতত তিনি ৪টি ফ্লাইট সম্পাদন করেছেন এই অবধি।

 

স্বাচ্ছন্দ্যে মহাকাশ ভ্রমণ

 

আজকে হয়তো আমরা মন চাইলেই এখন ক্ষণিক সময়ের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ করে আসতেই পারি। তাহলে একবার কল্পনা করে দেখুনতো সামনের দশকে কতটা পরিবর্তন আসতে পারে? হয়তো পরিবর্তনের ফলে এমন হল আমরা ঘুরে আসলাম মঙ্গল গ্রহে! কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলাম শেখানে! এসকল বিষয় উপভোগ করার এক গভীর অপেক্ষা পৃথিবীর।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ