হঠাৎ নিদ্রায় আঁতকে ওঠা
রিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে তাদের মধ্যে ১০% এর এই ঘুমের সমস্যার মধ্যে প্রতিদিনই পড়তে হয়।
অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। যা আমাদের মস্তিষ্কের সেরিব্রাম কর্টেক্স হুট করেই বুঝে ওঠতে পারে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন মস্তিষ্কের সাথে নিউরোট্রান্সমিটার এর এই অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে হিপনিক জার্ক হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে-
আপনার প্রতিদিনের অভ্যাসে যদি চা-কফি, ক্যাফেইন বা নিকোটিন থাকে তবে আজই তা কমিয়ে ফেলুন। এসব মস্তিষ্ক উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থের কারণে হিপনিক জার্ক হতে পারে। শরীরের প্রয়োজনীয় কিছু মৌল কমে গেলেও দেখা দিতে পারে এমন সমস্যা। যেমন: ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম ও আয়রন।অনেক সময় ঘুমের মধ্যে হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে ও আমরা চমকে যাই।অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অনেকেই আবার সারাদিনে সময় না পেলে রাতে ব্যায়াম করে থাকেন যা সুস্থ ঘুমের জন্য বাধা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ রাতে ব্যায়ামের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক জাগ্রত থাকে। রাতজাগা অভ্যাস, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও মস্তিষ্কের খাটাখাটুনি হলে সাধারণত হিপনিক জার্ক হতে পারে।
তবে শরীরে এমন ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভেঙে গেলে চিন্তার কিছু নেই। এটি মূলত স্বচ্ছ স্বপ্নের অভিজ্ঞতা বা হ্যালুসিনেশন। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনের মধ্যে থেকেই পেতে পারেন হিপনিক জার্ক থেকে মুক্তি। যদি এর প্রখরতা দেখা দেয় তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।