ঈদের রান্নার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন আগেই
'ঈদুল আযহা' আমাদের মুসলিমদের জন্য বড় একটি উৎসব। 'ঈদুল আযহা ' মানেই হল হরেক রকম গরুর মাংস দিয়ে রান্না করা খাবার। যেমন খাসির গোস্ত, গরুর গোস্ত ইত্যাদি।
বিদেশি স্বাদে খেতে চাইলে বিফ ভিদালো বিফ উইথ অনিয়ন, বিফ সিজলিং, বিফ স্ট্রু বিভিন্নভাবে মাংস রান্না করতে পারেন। আর অন্যান্য রান্না তো আছেই। এই সকল ঝামেলা এড়াতে চাইলে আগেই নিতে হবে ঈদ রান্নার প্রস্তুতি।
একদিকে যেমন মাংস কাটাকুটি সামলাতে হয়, অন্যদিকে তেমনি রান্নার প্রস্তুতিও নিতে হচ্ছে এক সাথে । তাই কাজের চাপ সামলাতে হয় প্রচুর।তাই আগে থেকেই যদি কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হয়, তাহলে ঈদের দিনে বেশি তাড়াহুড়ো থাকে না, বরং সময়মত রান্না ও মাংস কেটেকুটে গুছিয়ে রাখাও সহজ হয়ে যায়।
ঈদের কিছু দিন আগেই ফ্রিজ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। প্রথমে ডিপ ফ্রিজ ড্রয়ার সিস্টেম হলে এক ড্রয়ারে সব জিনিসগুলো রেখে বাকি ড্রয়ারগুলো খালি রেখে দিন। ঈদের কয়েক দিন আগে মাছ–মুরগি কিনলে তা ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
ঈদে পরিবেশনের জন্য যে সকল পাত্র ব্যবহার করবেন সে গুলো আগেই ধুয়ে,মুছে পরিষ্কার করে সাবধানে গুছিয়ে রেখে দিন। যাতে সময় হলে হাতের কাছে পান। তাছাড়া দা, ছুরি, বঁটি—এসব আগে থেকে ধার করিয়ে রাখুন। যাতে পরে গিয়া বিপাকে পরতে না হয়।
ঈদের আগেই আদা, রসুন, প্রয়োজনীয় উপকরণ সহ মাংসের মসলা বেটে রাখুন। পেঁয়াজ কুচি কেটে সংরক্ষণ করে রাখুন,এক্ষেত্রে বাতাস চলাচল করতে পারবে না এমন বক্সে,বা পলিথিন ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। মাংস কাটার পর পরই মাংস রান্না করবেন না। মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর মাংস রান্না করবেন। কেননা জবাই করার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত মাংস শক্ত থাকে, তাই কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর মাংস রান্না করবেন।
বাজারে অনেক রকমের ব্যাগ পাওয়া যায়। আগেই কিনে আনুন মাংস রাখার জন্য পলিব্যাগ। মাঝারি সাইজের পলিব্যাগ গুলো খুব হবে এক্ষেত্রে। একটু ভারী দেখে পলি কিনবেন।এতে একটা প্যাকেট অন্য একটা প্যাকেট এর সাথে বরফ হয়ে আটকাবে না।
মাংস দিয়ে খাওয়ার জন্য লুচি, রুটি, বা পরোটা আগের রাতে তৈরি করে অল্প ছেঁকে রাখুন। বাতাস চলাচল করতে পারে না এমন বিক্সে রাখুন। খাওয়ার আগে শুধু ভেজে মাংসের সাথে পরিবেশন করবেন। সালাদ টা ঈদের সকালে আগে কেটে ফ্রিজে বাটিতে বা বক্সে করে রেখে দিন। খাওয়ার সময় লবন দিয়ে মাখিয়ে খেয়ে নিন খাবারের সাথে।
আমরা কমবেশি সবাই মাংসের কাবাব বানিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে মাংসের কিমা আগে কিনে তা দিয়ে কাবাব বানিয়ে রাখতে পারেন।এতে সময় অ বাঁচতে এবং মেহমান আসলে আপ্যায়ন ও করতে পারবেন সহজেই। আবার স্টেকের জন্য মাংস কাটার আগের নির্দিষ্ট অংশের মাংসগুলো বড় চাকা করে কেটে সংরক্ষণ করে রাখুন।
ঈদে খাওয়ার সময় ঠাণ্ডা কোমল পানীয় আমরা সবাই খেয়ে থাকি।কিন্তু এর পরিবর্তে আপনি চাইলে দইয়ের লাচ্ছি,বোরহানি বানিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘরের স্বাদ পাওয়া যাবে এবং চাইলে একটু বেশি ও খেতে পারবেন। মাংস কাটাকুটির পর ঘরে আনার আগ অব্দি সব গুছানো থাকলে, তেমন একটা কষ্ট হবে না। তাই সে সময় আপনি আপনার নাস্তাটা বানিয়ে হটপটে রেখে দিতে পারেন।এতে খাবার গরম থাকবে।
সব কিছু হাতের কাছে গুছানো থাকলে পরে আর বেশি কষ্ট হয় না। তাই ঈদের দিনকে করে ফেলুন ঝামেলাহীন এবং কাছের মানুষদের সাথে ঈদ কাটুন আনন্দে।