স্বপ্নপূরণের টুর্নামেন্টের সেরা ‘মেসি’
সব গল্প গুলো কি তাহলে এইভাবেই তৈরি হয়? সবার ক্ষেত্রেই কি বিষণ্ণতাগুলো এইভাবেই কুড়ে কুড়ে শেষ করে দিতে চায় আমাদের! নিজের কাজের অস্তিত্ব রক্ষা করার লড়াইয়ের ফল বোধ হয় আসে এভাবেই।
লিওনেল মেসির মতো হয়তো কেউ কেউ ভুলে যান নিজের আদর্শ পছন্দসই জাল খুঁজে নিতে। তবুও কাছে চলে আসে শিরোপা তার যে আসার কথা ছিল। কিন্তু কতটা কাছে? কতটা কাছে গেলে ছোঁয়া যাবে তাকে? ছুঁয়ে দেখতে দেখতেও যেন স্পর্শ করা হয়নি প্রায় তিনবার। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় যতটা কাছে এলে, ঠিক ততটা।
কোপা আমেরিকা ২০২১- চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। শুধুই কি তাই? নিজের সেই অধরা শিরোপা জয় তো করেছেন ও সাথে পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। সেটা বরং না হলেই বোধ হয় ভালো হত। কিন্তু মেসির যে শিরোপাটা খুব দরকার ছিল। তার সেই অধরা ইচ্ছাটি যে এতো গুলো বছর কষ্ট করার পর, এতোগুলো বছর অপেক্ষার পর পেলো।
তো কষ্টের দল যদি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হন তাহলে মন্দ কি তাতে? তাই লিওনেল মেসি করলেন সেটিও। এই টুর্নামেন্টটাই তার সকল আশা এক সাথেই পূরণ করে দিয়েছে একটা শিরোপা জয়ের। তিনি কখনো জিততে পারেননি কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে কিন্তু এবার চার গোল করে হতে পারলেন সেটিও।
মেসির যত চাওয়া অপূর্ণ ছিল তা সবই যেন আজ এক সাথেই পেলেন। আমরা হয়তো জানি কষ্ট না করলে কখনো কোন কিছু পাওয়া যায় না। কষ্টের সাথে ও থাকতে হবে প্রবল ইচ্ছাশক্তি। যা সবই ছিল লিওনেল মেসির। সবার জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবেন আজ থেকে।