Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর এক যুগান্তকারী আবিস্কার

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ‘ভলটিক’ নামের একটি জীবাণুনাশক স্প্রে আবিষ্কার করেছেন সাদিয়া খানম নামক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণী। করোনা মহামারির প্রকোপ কমাতে বর্তমান বিশ্বে সাদিয়ার এই আবিষ্কার যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

ম্যানচেস্টার ইভনিংনিউজ জানায়, ‘ভল্টিক' নামের এই স্প্রেটি উদ্ভাবন করতে সাদিয়ার লেগেছে ১৪ মাস। এই স্প্রে সব ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও অন্যান্য অণুজীব শতভাগ ধ্বংস করতে সক্ষম। একবার স্প্রে করার পর ১৪ দিন এর কার্যকারিতা থাকে। 

 

ভলটিক স্প্রে এর সফলতা প্রমাণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএস) ও যুক্তরাষ্ট্রের নাসাসহ বেশ কিছু খ্যাতনামা সংস্থা ভলটিক স্প্রের পরীক্ষা করে এর সফলতা পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি কোম্পানি এটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

সাদিয়া যুক্তরাজ্যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে জেনেটিক নিয়ে চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আলজেইমার বিষয়ে তিনি পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার বাবা কবির আহমেদ হোটেল ব্যবসায়ী। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। ১৯৬৪ সালে কবিরের বাবা যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। 

 

২৬ বছর বয়সী সাদিয়ার ‘ভলটিক’ স্প্রে আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ইতিমধ্যে তিনি ১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অর্ডার পেয়েছেন। এনএইচএস যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কেয়ার হোমে পরীক্ষামূলকভাবে এই স্প্রে ব্যবহার করে সফল হয়েছে। নাসার ল্যাবে এই স্প্রে ব্যবহার হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাদিয়ার এই ‘ভলটিক’ স্প্রে বিশ্বের ১৩টি দেশ অর্ডার করেছে। মেডিকেল যন্ত্রপাতি, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রি, আর্ম ফোর্সেস, নিউক্লিয়ার স্টেশনে ব্যবহার করা যায়।

 

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ