ওভারসাইজ পোশাকে ফ্যাশন, সাথে স্বস্তি!
কিন্তু এই ওভারসাইজড পোশাক পরার প্রবণতা কিভাবে আসে সে ইতিহাসেও আছে নারীদের আরেক জয়ের গল্প। অবাক হচ্ছেন?
১৯২০ এর দশকের প্রথম দিকে মার্কিন ও কানাডিয় নারীরা ভোটাধিকার পায়। এমনকি এই সময়েই নারীরা কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণেরও সুযোগ পায়। তারা চাকরি করে স্বাবলম্বী হতে শুরু করে। আর তখন থেকেই 'নারীরা নিজেকে কিভাবে দেখতে চায়' এমন ধারণার উপর ভিত্তি করে পোশাক তৈরি শুরু হল। এর আগে পর্যন্ত নারীদের পোশাক তৈরি বিষয়টা ছিল ' বাকি বিশ্ব তাদেরকে কিভাবে দেখতে চায়' এই ধারণা নির্ভর।
নতুন ধারণায় ভিত্তি করে অর্থাৎ নারীরা কোন পোশাক পরে বেশি স্বস্তি পায় সেটা মাথায় রেখে প্রথম ফ্রেঞ্চ ব্র্যান্ড শ্যানেল গবেষণা করে ওভারসাইজড পোশাক তৈরি করে। আর সেটা দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে অন্যান্য ব্র্যান্ড গুলোও এই ধারণা গ্রহণ করে। এভাবেই ওভারসাইজড পোশাকের ফ্যাশন ট্রেন্ড হিসেবে চালু হয়।
কিন্তু এই ওভারসাইজড পোশাক পরার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন:
একসাথে দুটো ওভারসাইজড পরা যাবেনা। এই ধরুন আপনি ওভারসাইজড টপ পরলেন সাথে ওভারসাইজড প্যান্ট কিন্তু পরবেন না। একসাথে দুটো ওভারসাইজ পরলে দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে।
মাথায় রাখবেন ফরমাল পোশাকে ওভারসাইজড কখনোই যায়না। ফরমাল হিসেবে ওভারসাইজড বাদ দিন।
ওভারসাইজডের সাথে বাকিসব যেমন ঘড়ি, জুতা এসব ফিটফাট পরুন। যেন পোশাকের জন্য আপনার ব্যক্তিত্বও কনফিউজিং না হয়।