লকডাউনে দ্রুত ওজন কমাতে তিন ধরনের স্মুদি
লকডাউনে বাড়িতে বসে ল্যাপটপের সামনে কাজ করছেন, ঠিক মতো শরীরচর্চাও হচ্ছে না। ফলাফল ওজন বেড়ে যাচ্ছে। কি ধরনের খাবার খাদ্যাভ্যাসে রাখলে ওজন বাড়বে না সেটা ভেবে ভেবে সময় পার করে দিচ্ছেন। এদিকে স্মুদির কথা মনেই পড়েনি! স্বাস্থ্যকর খাবার তো বটেই, স্মুদি খেতেও সুস্বাদু। খাদ্যতালিকায় রাখলে মাত্র কয়েক সপ্তাহেই ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন অতিরিক্ত মেদ। পুষ্টিগুণে ভরপুর, প্রোটিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ স্মুদি রাখুন খাবারের তালিকায়। বিপাকহার বাড়বে এবং ওজনও কমবে। এই রকম ৩টি স্মুদির হদিশ রইল এখানে।
স্ট্রবেরি, ওটস ও চিয়াসিডের স্মুদি
পেটের মেদ ঝরাতে স্ট্রবেরির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকা ফাইবার ওজন ঝরাতে সহায়তা করে। ক্যালোরির অনুপাতও খুবই কম। ওটসে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। তাই অন্য কিছু খেয়ে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সহায়তা করে ওটস। চিয়াসিডে রয়েছে এমন ধরনের ফাইবার, যা শরীরের ক্লান্তি কাটায়। স্ট্রবেরি স্মুদিতে চিয়া সিড মেশালে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে।
কমলালেবু, পাতিলেবু এবং ফ্ল্যাক্সসিডের স্মুদি
কমলা লেবুর রসে ক্যালোরি পরিমাণ খুবই কম আর ফ্যাটও নেই। তাই খুব কম সময়ে কয়েক কিলোগ্রাম ওজন কমাতে এর চেয়ে ভাল উপাদান কি হতে পারে! এই ফল ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারাটেনয়ডে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ বার করে দেয়। অন্য দিকে এই স্মুদির অন্যতম উপাদান ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে এমন ফাইবার, যা অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া হয় না। এছাড়াও এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায়, যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ জমাতে বাঁধা দেয়। পাতি লেবুতে রয়েছে ভিটাংমিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায়।
শসা, তরমুজ ও জিরের স্মুদি
শসাতে একটুও ফ্যাট নেই, ক্যালোরিও তেমন একটা নেই বললেই চলে। কাজেই যারা চটজলদি ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা খুব উপকারী। এ ছাড়া শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বিপাক হার বাড়িয়ে ওজন ঝরাতে সহায়তা করে। তরমুজও কম ক্যালোরিযুক্ত ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যা শরীরের জন্য উপকারী। এই ফল খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি ঝরবে। জিরে শরীরের হজমশক্তিকে বাড়ায় এবং খিদে মেটায়। তাই ওজন ঝরাতে এই উপাদানের স্মুদি খুবই কার্যকর।