একসাথে দশ সন্তান জন্মদানের ঘটনা মিথ্যা ছিলো
এবছর জুন মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারীর একসাথে দশ সন্তানের জন্মদানের খবর করা হয়েছিলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে। একসাথে সর্বোচ্চ সন্তান জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করার দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। একসঙ্গে সন্তান জন্ম তো দূরের কথা, তিনি গর্ভবতীও ছিলেননা বলে জানা গেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার গৌতেং প্রদেশের সরকার জানিয়েছে, একসঙ্গে ১০ সন্তান জন্মদানের ঘটনার রেকর্ড প্রদেশটির কোন হাসপাতালে নেই। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে তিনি সম্প্রতি গর্ভবতীও ছিলেন না।
গত ৭ জুন গোসিয়ামি থামারা সিথোল স্টিভ বিকো একাডেমিক হাসপাতালে (এসবিএইচ) একসঙ্গে ১০ সন্তান জন্ম দেন বলে জানা যায়। তবে সন্তান জন্মদানের পর তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন না। তার অভিযোগকে ভিত্তি করে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম তদন্তে নামে। এরপর ঘটনাটি সাজানো বলে জানা যায়।
তদন্তে উঠে আসে অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় এই ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছিল ৩৭ বছর বয়সী এই নারী। তার পরিকল্পনা ছিল দশ সন্তান জন্মের ঘটনা সামনে এনে খরচ মেটাতে সক্ষম নয় বলে মানুষের অর্থ সহযোগিতা চাওয়া। মূলত জনসাধারণের অর্থসহযোগিতা পাওয়ার আশায় দশ সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। ১০ সন্তান জন্মের খবর প্রকাশের পর কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় এক মিলিয়ন রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) ওই নারীর ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। তদন্তের পরে তিনি এসব স্বীকার করেছেন। তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য আইনের অধীনে রাখা হচ্ছে এবং তাকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেওয়া হবে।
সিথোলের এই দশ সন্তান জন্মদানের ঘটনার খবর সবার আগে প্রচার করে প্রিটোরিয়া নিউজ। এ ঘটনায় সত্য সামনে আসার পর এডিটর পিট রাম্পেদী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, একসঙ্গে ১০ সন্তানের জন্মদানের খবর প্রকাশ করার আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখা তাদের উচিত ছিল। ভুল সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তবে প্রদেশ সরকার এই ভুয়া খবর প্রকাশ করায় প্রিটোরিয়া নিউজের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।