Skip to content

২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে এফটিসির প্রধান হলেন লিনা খান

যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষাবিষয়ক সংস্থা ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নারী লিনা খান। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিয়োগ দিয়েছেন লিনা খানকে।

 

ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) কাজ মূলত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য কমিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানো। সে সঙ্গে গ্রাহকের অধিকার রক্ষার দায়িত্বও কমিশনটির। ধারণা করা হচ্ছে, ‘বিগ টেক’ হিসেবে পরিচিত অ্যাপল, আমাজন, গুগল, ফেসবুকের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্য কমাতে লিনা খানকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

 

এই প্রভাবশালী বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ৩২ বছর বয়সী এই নারী। বাজারব্যবস্থায় বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া কর্তৃত্ব আরোপের তীব্র বিরোধী লিনা খান। অর্থনৈতিক খাতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব বিস্তার খর্ব করতে চাওয়া প্রগতিশীলরা লিনার নিয়োগকে বিজয় হিসেবে দেখছেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আইনের সহযোগী অধ্যাপক লিনা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম হলেও তাঁর মা-বাবা পাকিস্তানি। লিনার ১১ বছর বয়সে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায়। ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনার সময় পরিচিতি পান লিনা খান। সে সময় আধুনিক অ্যান্টিট্রাস্ট আইনগুলো ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আমাজনের আসল ক্ষমতা নির্ণয়ে কি কারণে ব্যর্থ, তা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সে গবেষণাপত্র খবরের শিরোনাম যেমন হয়েছিল, তেমনই নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিও কেড়েছিল।

 

এর আগে কাজ করেছেন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির অ্যান্টিট্রাস্ট (একচেটিয়াত্ববিরোধী) প্যানেলের সদস্য হিসেবে। কীভাবে অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক ও অ্যালফাবেট বাজারে আধিপত্য বজায় রাখে, সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি।

 

লিনা খানকে এফটিসি প্রধান হিসেবে নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় আইটিআইএফ বলছে, এটি মানুষের অনাস্থা-বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও উসকে দেবে। এতে লাভবান হবে বিদেশি ও কম মেধাবী প্রতিদ্বন্দ্বীরা; ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও মেধাবীরা।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ