Skip to content

আজ আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস

আজ আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস

আজ ১৬ জুন, বুধবার।  আন্তর্জাতিক গৃহ শ্রমিক দিবস।  প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বিশ্বজুড়ে  পালিত হচ্ছে দিবসটি।  ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও।  তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারে এসেছে বেশ কিছু ভিন্নতা।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ-২০১৬-১৭ তথ্য অনুযায়ী, দেশে গৃহস্থালি কাজে জড়িত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ, যাদের ৯০ শতাংশই নারী। বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের অবস্থা বরাবরই নাজুক । ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’ এর আওতা বহির্ভূত রাখায় তারা মানবিক অধিকার, শোভন কর্মপরিবেশ, ন্যায্য মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত। 

 

এছাড়াও বেশির ভাগ গৃহকর্মীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন  শিকার হতে হয়। সরকার ২০১৫ সালে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ তৈরি করলেও তার বাস্তবায়ন নেই। দেশব্যাপী গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন।

গৃহকর্মীরা সারাবছরই কোনো না কোনো হয়রানির শিকার হয়। এরউপর করোনা মহামারী যেনো একপ্রকার অভিশাপ হয়েই এসেছে তাদের জন্য। করোনা মহামারিতে  সর্বপ্রথম কাজ হারান গৃহশ্রমিকরা। হঠাৎ করে কাজ চলে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পরতে হয় তাদের। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি এখনো অনেকটা ভয়াবহ, তাই এখনও অনেক গৃহশ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে৷ 

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) যৌথভাবে দরিদ্র মানুষের ওপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে একটি জরিপ করেছে। গত বছর ৪ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত টেলিফোনে এ জরিপ করা হয়। জরিপে অংশ নেন ৫ হাজার ৪৭১ জন।

এতে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীদের ৫৭ শতাংশেরই কোনো কাজ নেই। এই গৃহকর্মীদের ৭৬ শতাংশ আয় কমেছে। ফলে নিম্ন আয়ের অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্তদের পরিবারের যে ভোগান্তি, একই ভোগান্তি হচ্ছে গৃহকর্মী ও তার পরিবারের।