Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভৈরবী’ সংস্কৃতির কথা বলে

একটা দেশের প্রতিটি অঞ্চলের আলাদা আলাদা সংস্কৃতি আছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষ যখন আধুনিকতার নামে ঐতিহ্য সংস্কৃতি থেকে অনেকটা এগিয়ে আসছে, তখনই এসব সংস্কৃতি প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে। কিন্তু যে দেশে মাটির গভীরে জীবনের শেকড় সে দেশের মাটির গন্ধ তো কি ছাড়িয়ে আসা যায়! 

 

যায় না। আর তাইতো একদল তারুণ্যের হাত ধরে গড়ে উঠে ভৈরবী।  যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখছে নিজেদের চর্চার মাধ্যমে।  

 

গতবছর ১২ই জুন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইলিয়াস নবী ফয়সাল এই সংগঠনটি গড়ে তোলেন। যার পরিচালনার দায়িত্বে আছেন শাহাদুজ্জামান খান শাহী। আর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়ার পথে থাকা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং তা তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে 'ভৈরবী'।  

 

সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমানে দেশের ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি তরুণদের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। বিগত বছর ধরে দেশের লোকজ সংস্কৃতির উপাদানগুলো নিয়ে গবেষণা করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি । যা ভবিষ্যতে দেশের লোকজ সংস্কৃতির জন্য দারুণ একটি সম্ভাবনাময় বিষয় হতে যাচ্ছে। 

 

আর এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের  হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি, রীতি-রেওয়াজ, নাচ, গান, খাবার, পোশাক পরিচ্ছদ সব তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন রূপে পরিচিত হবে৷ আর এবছরও তারা আয়োজন করেছে এমনই এক আয়োজনের। এবারের তালিকায় রেখেছে  দেশীয় সংস্কৃতি সমৃদ্ধ সিলেট জেলা। যেখানে আছে অনেক ঐতিহাসিক রসদ। আঞ্চলিক ছড়া, ধাঁধাঁ, ধামাইল গান, রাধা রমণের গান, হাছন রাজার গান, শাহ আব্দুল করিমের গান, মণিপুরী নৃত্য, শুনাভানের পুথি, শীতলপাটি, বেতের কারুশিল্প সহ আরো অসংখ্য ইতিহাসের সাক্ষী এই সিলেট জেলা। ভৈরবীর এবারের আয়োজন তুলে ধরবে সিলেটের সমস্ত সংস্কৃতিকে। প্রথম বর্ষপূর্তিতে বাংলা বর্ণমালার প্রথম অক্ষরের সাথে মিল রেখে বর্ষপূর্তি উৎসবের নামকরণ করেছে “অভ্র’যাত্রায় ভৈরবী” । এমনকি লোকসংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ভৈরবী তাদের এবারের 'অভ্রযাত্রা' কে উৎসর্গ করেছেন  কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যকে। 

 

উদ্দেশ্য কিংবা ইচ্ছা অন্যরকম থাকলেও করোনার থাবা তা হতে দেয়নি সম্পূর্ণ। আয়োজনের সব অংশই করতে হচ্ছে অনলাইনে। যেখানে  শুভেচ্ছা বার্তায় থাকবেন বাংলাদেশের একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। 

 

'ভৈরবী'র এমন উদ্যোগ দেশের লোকজ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে সক্ষম হবে এমনটাই প্রত্যাশা ভৈরবীর প্রতিটি সদস্যের।
 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ