Skip to content

১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম কমবে স্যানিটারি ন্যাপকিনের

স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে। ফলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কিছুটা কমবে।

 

গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করছি। স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির ভ্যাট থেকে অব্যাহতির বিদ্যমান সুবিধা আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।” পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কতিপয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তবে বিদেশ থেকে স্যানিটারি টাওয়েল(প্যাড) ও ট্যাম্পুন, ন্যাপকিন আমদানিতে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রয়েছে।

 

স্যানিটারি ন্যাপকিনের উৎপাদকদের মতে, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির জন্য কাঁচামাল আমদানির সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের শুল্ক, যেমন কাস্টমস শুল্ক (সিডি), নিয়ন্ত্রক শুল্ক (আরডি), পরিপূরক শুল্ক (এসডি) ও সরকারের আরোপিত অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদান করতে হয়। একারণেই পণ্যগুলোর দাম দোকানে বিক্রির সময় নিম্ন-আয়ের নারী ও মেয়েদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থেকে যায়।

 

দেশে উৎপাদিত ৯০ টাকার একটি প্যাকেটে সাড়ে ১২ টাকা শুল্ককর হিসেবে সরকারের কোষাগারে যায়। এর মধ্যে ১০ টাকা ভ্যাট, বাকিটা অন্যান্য কর। ২০০ টাকা খুচরা মূল্যের এক প্যাকেট ন্যাপকিনে ২২ টাকা ভ্যাট ও ৫ টাকা কর আসে। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির কথা জানালেন। ফলে অনেক দরিদ্র নারীই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারবে। এতে নারী স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ