পরদেশে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন
বাঙালীর একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখ। সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষেরা আনন্দের সাথে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪ এপ্রিলে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ মহাসমারোহে পালিত হয়। কিন্তু দেশের বাইরেও দেশের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব পালন করেছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটোরি রাজ্যের রাজধানী ডারউইনে বসবাসরত বাঙালী প্রবাসীরা।
১৪ এপ্রিল প্রথম রোজা হওয়ায় তারা তখন উৎসবটি পালন করতে পারেনি। তাই রমজান মাস শেষে ঈদের পর গত ২৯ মে আড়ম্বরের সাথে বাংলা বর্ষের প্রথম দিনটি উদযাপন করে। রাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংগঠন পূজা অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্দান টেরিটোরি এই উৎসবের আয়োজন করে। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল নর্দান টেরিটোরি রাজ্য সরকার। ডারউইনের রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বর্ষবরণ উৎসবের এই আয়োজন এবারই প্রথম।
উৎসবের আয়োজন শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। স্থানীয় সরকারের মন্ত্রীদের নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় এ শোভাযাত্রা। গোটা আয়োজনেই ছিল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ উৎসবের আবহ। উপস্থিত সবার পরনে ছিল লাল-সবুজের বর্ণিল লুঙ্গি-ফতুয়া আর শাড়ির বাহার। ঢাকঢোলের তালে চলে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ডারউইনের লেক আলেকজান্ডার এলাকাটি এক দিনের জন্য হয়ে উঠেছিল রমনার বটমূল। বর্ষবরণ আয়োজনের অংশ হিসেবে প্রস্তুত ছিল বৈশাখী মেলা। মেলায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টলের পাশাপাশি ছিল শাড়ি-চুড়ির আর গয়নার স্টল। এ ছাড়া বিকেলে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে দেশীয় আমেজের এ বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বাঙালির মতোই দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণ করেন রাজ্য সরকারের বহুসংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী কেট ওয়ার্ডেন এবং শিক্ষামন্ত্রী লরেন মোস। আশা করি সামনে তারা সমারোহের সাথে বিভিন্ন বাঙালি উৎসব পালন করবে। এতে করে পরদেশেও নিজ দেশের, নিজ সংস্কৃতির একটা আমেজ পাওয়া যাবে।