‘চীনা বিজ্ঞানীরাই তৈরি করেছেন কোভিড-১৯’
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলমান করোনার এই প্রকোপের জন্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই দায়ী করছে চীনকে। সর্বপ্রথম চীনে ধরা পরে এ ভাইরাস। দিন যত যাচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ে একের পর এক বের হচ্ছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ সম্প্রতি আবারও ব্রিটিশ অধ্যাপক অ্যাঙ্গাস ডালগেলিশ এবং নরওয়েজিয়ান বিজ্ঞানী ডা. বিজার সোরেনসেনের তৈরি একটি গবেষণাপত্রের তথ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য।
তাদের তথ্যমতে, প্রাকৃতিক ভাবে নয় বরং উহানের একটি ল্যাবে চীনা বিজ্ঞানীদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে কোভিড -১৯। রবিবার (৩০ মে) ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভাইরাসের কোন প্রাকৃতিক পূর্বপুরুষ নেই। বরং এটি উহানের একটি ল্যাবে ‘গেইন অফ ফাংশন বা কাজের ফসল’ প্রকল্প নিয়ে কাজ করা চীনা বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। তাদের তথ্যমতে, চীনের বিজ্ঞানীরা বাঁদুড়ে পাওয়া একটি প্রাকৃতিক করোনাভাইরাসের ‘ব্যাকবোন’ নেন।এরপর সেটিতে নতুন স্পাইক লাগান। যার কারণে এটি মরণব্যাধী এবং অধিক সংক্রমিত কোভিড-১৯ এ পরিণত হয়।
গবেষণায় কোভিড-১৯ এর নমুনায় ব্যতিক্রমী আঙুলের ছাপ খুঁজে পান গবেষকরা। আর এ থেকেই তাদের সন্দেহ আরো প্রবল হয়। এমন চিহ্ন কেবল কোন পরীক্ষাগার থেকেই কেবল আসতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। এরপর চীনা বিজ্ঞানীরা করোনা প্রাকৃতিক ভাবে বাঁদুড় থেকে সৃষ্ট বলে প্রচারণা চালায় বলে জানান তারা।
এছাড়াও এই গবেষণাপত্রে উহানের ল্যাবে তথ্যকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধ্বংস, গোপন এবং দূষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে । খুব শীঘ্রই ২২ পৃষ্ঠার এই গবেষণাপত্রটি বায়োফিজিক আবিষ্কারের ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে ফাঁস হওয়া এক চীনা নথি থেকে মিলেছে এমনি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রিকা ‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’-র হাতে আসে উক্ত নথিটি। ওই চিনা নথির নাম ‘দ্য আনন্যাচারাল অরিজিন অব সার্স অ্যান্ড নিউ স্পিসিস অব ম্যান-মেড ভাইরাসেস অ্যাজ জেনেটিক বায়োওয়েপন’।
নথিটির তথ্য তুলে ধরে তারা বলেন, করোনা মহামারির বেশ অনেক আগে ২০১৫ সালেই পুরো পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন চীনের সামরিক বিজ্ঞানীরা। তাদের বক্তব্য অনুসারে করোনাভাইরাস এক নতুন ধরনের ‘জেনেটিক অস্ত্র’, যাকে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মারণ ভাইরাসে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
এর কারণ হিসেবে উইকেন্ড অস্ট্রলিয়ায় বলা হয়, চীনা গবেষকরা অনুমান করেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই হবে ‘জৈব অস্ত্র’ দিয়ে, আর সেই কারণেই করোনাভাইরাসকে জৈব অস্ত্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল চীন।