মেডিটেশনের মাধ্যমে কমবে ৬০% মানসিক চাপ
মানসিক চাপ কমাতে সর্বজনীন ব্যায়াম হচ্ছে মেডিটেশন বা ধ্যান। নিয়মিত অনুশীলন করলে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব বাড়ে। মেডিটেশন আমাদের ক্লান্তি, অবসাদ দূর করে খেয়ালী মনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এই করোনাকালে মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই।
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত যে, নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং মানসিক স্বাস্থ্য অটুট থাকে। করোনাকালেও বহু মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল, তখন মেডিটেশন ও সুস্থ জীবন চর্চায় যারা অভ্যস্ত, অটুট মনোবল ও প্রাণবন্ত সুস্থতা নিয়ে তারা নিজ কর্তব্য পালন করে গেছেন চমৎকারভাবে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিয়ে যখন একজন মানুষ ধ্যানমগ্ন হন, তখন তার মানসিক চাপের মাত্রা কমে যায় ৬০ শতাংশ। গবেষণার তথ্য, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অন্তত ৮৭ শতাংশ কমে গেছে, যখন তারা মেডিটেশন করেছেন। ৯১ শতাংশ মানুষই মেডিটেশন বাদ দিয়ে পরে ঘুমের ওষুধ বা স্লিপিং পিল খাওয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়েছেন। কোন ওষুধ বা প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে এমন সাফল্য কখনো দেখা যায়নি।
২০১৮ সালের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫২ ভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মীদের মেডিটেশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তারা দেখেছে, মেডিটেশন করা কর্মীর উৎপাদন ক্ষমতা মেডিটেশন না করা কর্মীর চেয়ে শতভাগ বেশি। বাংলাদেশের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও সেদিকে ঝুঁকছে।
বোস্টনের মাইন্ড বডি মেডিকেল ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা হার্বার্ট বেনসন ‘ব্রেকআউট প্রিন্সিপাল’ বইতে বলেছেন, মনকে শিথিল করার মাধ্যমে একজন মানুষ মানসিক শক্তি বাড়াতে পারেন।
মানসিক প্রশান্তি আনার পাশাপাশি নিয়মিত মেডিটেশন এবং ব্রিদিং এক্সারসাইজ করলে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং বয়সের ছাপ রোধ করে।