ঘর শীতল রাখতে করণীয়
পরিবেশের তাপমাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। গুমোট এই আবহাওয়ায় জীবনযাপনের অবস্থা নাজেহাল। শহরে এর প্রভাব পড়ছে ভিন্নভাবে। গ্রামে খোলামেলা ঘরবাড়ি হওয়ায় বাতাস চলাচলের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু শহরে একের পর এক দালানকোঠা হওয়ায় ঘরে বাতাস চলাচল প্রায় হয় না বললেই চলে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে গুমোট এই গরম থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব। এক্ষেত্রে যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র আছে তাদের কথা ভিন্ন।
গরমের তাপদহে ঘর থেকে বের হওয়া এখন মুশকিল হয়ে পরেছে। তবে অনেকসময় ঘরে থেকেও ঠিকঠাক শান্তি পাওয়া যায় না। কারণ অনেক বাসায়ই বাতাস চলাচলের মত যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা নেই। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যে প্রাকৃতিক বাতাস খুব সহজেই ঘরে ঢুকতে পারে কিনা।
অনেক বাসার ঘরে জানালার পরিমাণ খুবই কম থাকে। আবার অনেক বাসায় একাধিক জানালা থাকলেও নানা আসবাবপত্র দিয়ে জানালাগুলো ঢেকে ফেলা হয়। এমন কাজ কখনো করা যাবে না। এছাড়া রাতে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দুপুরে কড়া রোদের সময় জানালার পর্দা টেনে রাখতে হবে। এতে ঘর অনেকটা ঠাণ্ডা থাকবে।
গরমের সময় সন্ধ্যার পরে ঘরে বেশি পাওয়ারের লাইট না জ্বালানোই ভালো। কারণ এতে ঘর অনেক গরম হয়ে যায়। এমন অবস্থায় ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ওয়ার্ম লাইট বা ল্যাম্পসেট ব্যবহার করতে পারেন। রাতে মোমবাতিও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ মোমের আলোতে ঘর গরম হয়না। এছাড়াও রাতে ঘরের পর্দায় পানি স্প্রে করলে বাইরে থেকে আসা বাতাস শীতল হয়ে ঘরে ডুকবে৷ ফলে ঘর থাকবে ঠাণ্ডা।
এছাড়াও ঘরের আসবাবপত্র বিন্যাসে সচেতন হতে হবে। অনেক বেশি আসবাবপত্র ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে।বাতাস চলাচলেও দেয় বাঁধা। ফলে ঘরের পরিবেশ গরম অনুভূত হয়। তাই ঘরে আসবাবপত্রের পরিমাণ যতটা সম্ভব কম রাখুন। এক্ষেত্রে ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি ঘর শীতল রাখে। এসব বিষয় মাথায় রাখলে ঘর যেমন দেখতে লাগবে সুন্দর তেমনি থাকবে শীতলও।