Skip to content

১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ে নারী সাংবাদিককে আটকে রেখে হেনস্তা 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয় এবং আটকে রাখার পাঁচ ঘণ্টা পর অসুস্থ অবস্থায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

রোজিনা ইসলাম  দেশের স্বনামধন্য পত্রিকা প্রথম আলোর একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যেই তিনি আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানেই দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি সরানোর অভিযোগে তাকে পুলিশের গাতে সোপর্দ করা হয়। 

এর আগে বিকেলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে। আটক থাকার একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন। তাকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন । এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ সচিবালয় থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম  সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। একই বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে রোজিনাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, উনি সরকারি গোপন নথি সরাচ্ছিলেন। উনার দেহ তল্লাশি করে নথি পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। 

ইতোমধ্যেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটক রাখা ও থানায় প্রেরণ করা নিয়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল। রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী রোজিনা ইসলামকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ