Skip to content

২২শে জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথার বিপরীতে এক বিয়ে

করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পরপরই বিয়ের পরিকল্পনা করেন তনুজা পাটিল এবং শার্দুল কদম। বিয়েতে তারা ভিন্নতা আনতে চেয়েছিলেন। ভারতীয় বিয়েতে স্ত্রীকে স্বামীর মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেয়ার প্রথা রয়েছে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে। প্রচলিত এই রীতিনীতিগুলো মূলত পিতৃতান্ত্রিক সত্তা থেকেই চলে আসছে। কিন্তু এই প্রথার বিপরীত কাজ করলেন শার্দুল। বিয়েতে প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গে স্ত্রীর হাত থেকে মঙ্গলসূত্র পরলেন তিনি। 

 

প্রথার বিপরীতে এক বিয়ে

 

জানা যায়, চার বছর প্রেম করার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুম্বাইয়ের এই জুটি। শার্দুল নিজেকে ‘হার্ডকোর ফেমেনিস্ট’ বলে দাবি করেন। শার্দুলের ভাষায়, সনাতন ধর্মের বিয়েতে শুধু নারীকেই কেন মঙ্গলসূত্র পরতে হবে? এই প্রশ্ন আসার পরপরই শার্দুল অভিনব এক প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন যে, তারা একে অপরকে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেবেন। এতে শার্দুলের পরিবার অবাক হয়ে যায়। কিন্তু নাছোড়াবান্দা শার্দুল ঠিকই মঙ্গলসূত্র পরে বিয়ে করেন। আর বিয়ের পরও সেই মঙ্গলসূত্র গলায় ঝুলিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

 

প্রথার বিপরীতে এক বিয়ে

 

তিনি বলেন, সাত পাক হওয়ার পর তনুজা এবং আমি একে অপরের গলায় মঙ্গলসূত্র বাঁধি। তখন আমার খুব আনন্দ হচ্ছিল। কিন্তু শার্দুলের এমন কাজের কারণে অনেকের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বকাঝকা এবং ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে।

 

প্রথার বিপরীতে এক বিয়ে

 

এই দম্পতি বলেন, মানুষজন বলতে শুরু করে যে ‘এখন শাড়িও পরো’, ‘তোমার কি মাসে একবার মাসিক হয়?’ এমনকি উদারপন্থী হিসেবে পরিচিতরা তাকে ট্রোল করতে থাকে। তাদের ভাষায়, লিঙ্গ সমতাকে সমর্থন করার পথ নয় এটা। কিন্তু আত্মীয়স্বজন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ট্রোলের পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন শার্দুল। ভারতীয় বিয়েতে প্রচলিত এই প্রথাকে ভেঙ্গে ভিন্ন এক দৃষ্টি স্থাপন করেছেন তিনি।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ