করোনামুক্ত হয়েছেন খালেদা জিয়া
করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পরে করোনামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ কোভিড পরীক্ষা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে। এর আগে মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তার।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, খালেদা জিয়া পোস্ট কোভিড জটিলতায় ভুগছেন। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘করোনার কোভিডোত্তর যেটাকে পোস্ট কোভিড জটিলতা বলা হয়, সেই জটিলতা কিন্তু মাঝে মাঝে টার্ন নেয় বিভিন্ন দিকে। উনার (খালেদা জিয়া) যে বয়স, উনার যে বিভিন্ন রোগ আছে, এর আগে উনি যে প্রায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন, এখনও তিনি অন্তরীণই আছেন। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার যেসব জটিলতা হয়েছে এবারে।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে তার পরিবার। রোববার এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।