মেহেদীর রঙ গাঢ় করবেন যেভাবে
সামনে ঈদ আর ঈদের ২/১ দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সব মেয়েদের মেহেদী লাগানো। কেউ পার্লারে, কেউ অভিজ্ঞ কারও কাছে, আবার কেউ নিজের হাতে নিজেই দিয়ে থাকেন। কিন্তু এত কষ্ট করে মেহেদী দেয়ার পর যদি রঙ টাই ঠিক মত না হয় তাহলে পুরো আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। তাই এখন থেকেই অনেকের চিন্তার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মেহেদীর রঙ গাঢ় করার নিত্যনতুন উপায় খোঁজার ব্যস্ততা।
চলুন দেখে নেই মেহেদীর রঙ গাঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়গুলো_
মেহেদী দেওয়ার আগে হাত অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই হাতে কোন প্রকারের তেল থাকা যাবে না। হাত যত পরিষ্কার থাকবে ততই ভালো রঙ বসবে। পরিষ্কার শুষ্ক হাতে মেহেদীর রঙ সহজেই শোষিত হয়। ফলে রঙ আরো গাঢ় হয়।
মেহেদি লাগানোর পরে যখন মেহেদি একটু একটু করে শুকাতে শুরু করবে তখন একটি পাত্রে সামান্য লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে রস টা নিয়ে হাতে মিশ্রণটি লাগান। মেহেদির উপর ঘষা ঘষি করবেন না। আলতো করে শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির একটু উপর থেকে তুলার বল চিপে ফোটা ফোটা করে লেবু আর চিনির মিশ্রণটি পুরো হাতে লাগাবেন। লেবুর রস মেহেদির রঙটা পুরোপুরি মেহেদির পেস্ট থেকে বের করতে সাহায্য করে আর চিনি সেই রঙ আর মেহেদি অনেকক্ষণ হাতে আটকে রাখতে সাহায্য করে।
মেহেদী শুকিয়ে গেলেই অনেকে পানি দিয়ে শুকনো মেহেদী হাত থেকে তুলতে শুরু করেন। যা মোটেও করা যাবে না। চাকু অথবা অন্য কিছুর সাহায্যে মেহেদী তুলে ফেলতে হবে। অন্তত ১২ ঘণ্টা হাতে আর পানি লাগানো যাবে না। পানি দিলে রঙ হালকা হয়ে যাবে।
পুরো হাতে চিকন করে ডিজাইন না করে কিছু কিছু ডিজাইন ভরাট করে দেয়া উচিত। তাহলে মেহেদির রঙ টা বেশি ফুটে উঠবে।
মেহেদী শুকিয়ে উঠে আসলে রান্নার জন্য যে তেল ব্যবহার করেন তাই ভালো করে নকশাগুলোর উপরে ম্যাসাজ করুন। মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে দেওয়া যাবে না। এতে করে রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চুলার উপর একটি শুকনো তাওয়ায় কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন। মেহেদি তোলার পর হাত দুটি গরম তাওয়া থেকে একটু দূরে রেখে হালকা ভাপ লাগান হাতে। এতে রঙ গাঢ় হবে।